বলাগড়: হুগলির বলাগড় কেন্দ্রে এবার তৃণমূলের প্রার্থী দলিত সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারী৷ জাতীয় ও আন্তজর্তাজিক স্তরে সাহিত্য ক্ষেত্রে যাঁর উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য৷ কিন্তু কেন তাঁকে প্রার্থী করল দল? বলাগড়ের সভা থেকে সেই প্রশ্নেরই জবাব দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷
আরও পড়ুন- গ্রেফতার ১৬! দিলীপের উপর হামলার ঘটনায় রিপোর্ট তলব কমিশনের
এদিন মমতা বলেন, মনোরঞ্জন ব্যাপারী এক সময় রিক্সা চালাতেন৷ ঠেলা গাড়ি চালাতেন৷ তিনি বহু বছর রান্নার কাজও করেছেন৷ তবে উনি শুধু রান্নাই করতেন না৷ রান্না করতে করতেই বই লিখতেন৷ এক সময় আমার কাছে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন, উনি দলিত সাহিত্যের উপর কাজ করেন৷ তাঁর লেখা অনেক বই আছে৷ তাঁকে যদি রান্নার বদলে অন্য কাজ দেওয়া হয়৷ ওই চিঠিটা পাওয়ার পরই আমি ওঁনাতে রান্নার জায়গা থেকে সরিয়ে লাইব্রেরেতে বদলি করেছিলাম৷ ওঁনার গুণগান শুনেই ওঁনাকে দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান করেছি৷ তিনি রও বলেন, একমাত্র বাংলাতেই রয়েছে এই দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমি৷ দলিত শ্রেণির সমাজ, সংস্কার নিয়ে উনি অনেক বই লিখবেন৷ আপনাদের নিয়ে অনেক কাজ করবেন৷ ওঁনাকে সবাই সাহায্য করবে৷ আর বলাগড়ে দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির একটা সেকসনও করে দেওয়া হবে৷ যাতে এখনে বসেই কাজ করতে পারেন দলিত সহিত্যের অন্যতম কাণ্ডারী৷
আরও পড়ুন- শেষ মুহূর্তে বেহালায় বাতিল মিঠুনের রোড শো, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন শ্রাবন্তী
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন মনোরঞ্জনবাবু এসেছিলেন রিক্সায় বই বেঁধে নিয়ে। এদিন সেই কথাও উঠে আসে দলনেত্রীর কথায়৷ তিনি বলেন, আমি নিজেও রিক্সা চালাতে, স্কুটি চালাতে পছন্দ করি৷ আমি নিজে সব কাজ করতে পছন্দ করি৷ এত বড় মহৎ কাজ আর কোথায় হবে? এর পরেই তৃণমূলের হয়ে ভোট প্রার্থনা করে তিনি বলেন, আগের বার আপনারা বিজেপি’কে ভোট দিয়েছিলেন৷ কিন্তু এবার ভোটটা তৃণমূলকে দেবেন৷ কারণ এটা দিল্লির নয় বাংলার নির্বাচন৷ কন্যাশ্রী থেকে শিক্ষাশ্রী, রেশন, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজ সাথী অনেক কাজ করেছে সরকার৷ তাই কাজ দেখে ভোট দেবেন৷ কারণ গুণ্ডাগিরি ছাড়া কোনও কাজই করেনি বিজেপি৷