কলকাতা: এ যেন আশ্চর্য সমাপতন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টিভিতে সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন – তার ফোন ট্যাপ করা হয়। পরের দিনই শীতলকুচি কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর অডিওটেপ প্রকাশ্যে আনল বিজেপি। বিজেপির দাবি, অডিও টেপে যে ফোনালাপ শোনা যাচ্ছে, সেই ফোনের একপ্রান্তে রয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য প্রান্তে বিজেপি-র কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা শীতলখুচি কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতীম রায়।
এ বারের নির্বাচনের প্রচারে বিভিন্ন সময় একাধিক অডিয়ো টেপ সামনে এনেছে রাজনৈতিক দলগুলি। পরস্পরকে তা নিয়ে আক্রমণ করেছে তারা। এই রকম অডিয়ো টেপ সামনে এসেছে কয়লা ও গরু পাচারের মতো ঘটনা নিয়ে। টিভিতে সাক্ষাৎকারে দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এটা একেবারেই ঠিক নয়। অনৈতিক কাজ। দু’জন কথা বলছেন আর তা রেকর্ড করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।’’ তাঁর সব ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ করে মমতা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দিকে আঙুল তুলেছেন। তারপরদিনই আরও একটি টেপ সামনে এল।
বিজেপি-র সর্বভারতীয় আইটি সেলের প্রধান তথা পশ্চিমবঙ্গের ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যতম নেতা অমিত মালব্যের অভিযোগ, ফোনে ওই কখোপকথনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মৃতদেহ পরিবারকে দেওয়া যাবে না। কারণ পরদিন ওই দেহ নিয়ে মিছিল হবে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় তৃণমূলের দুই রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন ফোন ট্যাপের অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। এক মিনিট উনিশ সেকেন্ডের এই অডিও টেপ এখন সারা দেশের রাজনীতিতে চর্চার বিষয়।
তবে তৃণমূলের তরফ থেকে এই অডিও টেপ জাল, তা দাবি করা হয়নি। বরং, ই রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন ফোন ট্যাপের অভিযোগ তুলেছেন। বিজেপি অভিযোগ তুলেছে – মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করার পুরানো অভ্যাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তা আবার করে ভোট বানচালের চেষ্টা করা হয়েছিল। অন্যদিকে সরকারি কর্মীরাও ওই অডিও টেপ নিয়ে ভাবিত। কারণ সেখানে শোনা যাচ্ছে, মমতা বলছেন – এসপি, আইসিকে পাসাতে হবে। তৃণমূলের তরফ থেকে এই অডিও টেপ জাল, তা দাবি করা হয়নি।