কলকাতা: সাধারণ মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্রের নরেন্দ্রে মোদির সরকার৷ সাধারণ মানুষের ফোন ও কম্পিউটারে নজরদারি চালিয়ে আদতে কী প্রমাণ করতে চাইছে কেন্দ্র৷ শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জারি করা বিতর্কিত বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে সরব হয়ে দেশের মানুষকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামের পরামর্শ দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
শুক্রবার দুপুরে টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ‘‘আমি জানতে পেরেছি যে গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ১০টি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ছাড়পত্র দিয়েছে যাতে তারা যে কোনও কম্পিউটারে উৎপন্ন প্রেরিত, প্রাপ্ত বা সংরক্ষিত তথ্য পাঠোদ্ধার, আটক ও নজরদারি করতে পারে৷ এটা যদি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য করা হয়ে থাকে, তবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যথেষ্ট ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই রয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে এর জন্য কেন ফল ভোগ করতে হবে? আপনাদের কি মত?’’
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, সন্দেহ হলেই এবার আপনার কম্পিউটারেও নজরদারি চালাতে পারবে কেন্দ্র৷ শুক্রবার ১০টি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এই মর্মে ছাড়পত্র দিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার৷ এতদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কোনও ব্যক্তির ফোনে আড়িপাতার উপর ছাড়পত্র দিয়ে রেখেছিল কেন্দ্র৷ এবার সরাসরি কম্পিউটারে উঁকি দেওয়ার নির্দেশ দিল কেন্দ্র৷ কেন্দ্রের এই নির্দেশের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার, আশঙ্কা পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের৷
জানা গিয়েছে, নয়া এই নির্দেশের জেরে এখন থেকে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা চাইলে আপনার কম্পিউটারের উঁকি দিতে পারবে৷ কম্পিউটারে রাখা সমস্ত নথিও হাতাতে পারবেন গোয়েন্দারা৷ কম্পিউটারের পাশাপাশি ফোন ও ডেটার ব্যবহারের উপরও নজরদারি চালাতে পারবে কেন্দ্র৷ কোথায় কত সময় কী কথা হচ্ছে, কিংবা কোন ওয়েবসাইট কে কী দেখছে, কোথায় কোথায় ম্যাসেজ চালাচালি হচ্ছে, তাও উপরও নজরদারি চালাতে পারবে কেন্দ্র৷ ফলে, গোপনীয়তা বলে আর কিছুই থাকবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷
কেন্দ্রের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছে বিরোধীদলগুলি৷ শুক্রবার এই খবর প্রকাশিত হতে লোকসভায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করেছেন বিরোধী দলের সাংসদরা৷ বিরোধীদের সামাল দিতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু যুক্তিও দিয়েছে কেন্দ্র৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রুখতেই এই নির্দেশ বলে বিরোধীদের আশ্বস্ত করেছে কেন্দ্র৷