কলকাতা: সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি শেষ হতেই প্রশাসনে রদবদল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবারই তিনি স্বপদে ফিরিয়ে এনেছিলেন নির্বাচন কমিশনের দ্বারা বদলি হওয়া পুলিস আধিকারিকদের। সোমবার ফের একদফা রদবদল করলেন তিনি। রাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব হলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্প দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের দায়িত্বে ছিলেন আলাপন।
সেখান থেকেই নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব হলেন তিনি। অন্যদিকে রাজ্যের নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সৌরভ দাস। তিনি পঞ্চায়েত সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। রাজ্যে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অমরেন্দ্রনাথ সিং৷ গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় তিনিই দায়িত্বে ছিলেন। এই মে মাসেই তিনি অবসর নেবেন তাই তাঁর জায়গায় সৌরভ দাসকে পাঠানো হল। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন সরাষ্ট্রসচিবের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিল অত্রি ভট্টাচার্যকে। অভিযোগ ছিল, তিনি কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করেছেন। তাঁর কাজ দেখার দায়িত্বে ছিলেন মুখ্যসচিব মলয় দে। পাশাপাশি একদিনের মধ্যেই দ্বিতীয়বার বদলি করা হল জ্ঞানবন্ত সিংকে। তাঁকে বিধাননগরের সিপি থেকে এডিজি আইনশৃঙ্খলা করা হল। বর্তমান এডিজি আইনশৃঙ্খলা সিদ্ধিনাথ গুপ্তাকে পাঠানো হল এডিজি-এস্টাব্লিশমেন্ট পদে। বিধাননগরের সিপি করা হয়েছে নিশাদ পারভেজকে।
অপরদিকে শেষ দফা ভোটের আগে অমিত শাহর রোড শোর মধ্যেই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন সরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ওই উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তদন্ত করবে কে বা কারা বিদ্যাসাগর কলেজের ভিতর হামলা চালিয়েছিল। এই কমিটিতে কলকাতার পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা এবং জাভেদ শামিমও রয়েছেন। এছাড়া রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দ্রুত উন্নতি করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বলেই জানা গিয়েছে। ব্যারাকপুরের সিপি দেবেন্দ্র প্রকাশ সিংকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার ও এলাকায় মজুদ অস্ত্র উদ্ধার করার। বিশেষ করে ব্যারাকপুর, ভাটপাড়া, জগদ্দল ও নৈহাটির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করতে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্ন থেকে।