জলপাইগুড়ি: পঞ্চম দফার নির্বাচনের শেষ মুহূর্তের প্রচারে জলপাইগুড়ি থেকে গর্জে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশনের নির্দেশে সোমবার রাত আটটা থেকে মঙ্গলবার রাত আটটা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিকে বুধবার রাত ১০টা পর্যন্তই পঞ্চম দফার নির্বাচনের প্রচারের শেষ সময়। তাই বুধবার সকাল থেকেই শেষ লগ্নের প্রচারে উঠে পড়ে লেগেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাছাড়া এদিন ম্যারাথন জনসভার কর্মসূচি তাঁর। যার সূচনা করলেন এদিন সকালে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির জনসভা থেকে।
শীতলকুচিকাণ্ড নিয়েও এদিন বিজেপিকে দুষলেন মমতা। বললেন, “যারা গুলি করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার সরকার শুরু হলে যা করার করবে। ইতিমধ্যেই আমি সিআইডিকে নজর রাখতে বলে দিয়েছি। মানুষের সাথে অন্যায় হয়েছে, আমরা ছেড়ে কথা বলব না। আমরা গুলি চাই না, আমরা রক্ত চাই না।” তিনি এদিন আরও বলেছেন, “বিজেপি শুধু মিথ্যে কথা বলে। কাল পাহাড়ে এসে বলে গেছে, ‘এনআরসি তো আমরা চাইনি’। আসামে আবার কাল থেকেই ডিটেনশান ক্যাম্পের নোটিশ দিচ্ছে। যেই ভোট হয়ে গেছে সেই এনআরসি-সিএএ করছে। মনে রাখবেন আমাদের সরকার এলে বাংলায় এসব করতে দেব না।”
নির্বাচন কমিশনের জারি করা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এদিন বিচার চান মমতা। তিনি বলেন, “আমাকে ২৪ ঘন্টা প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। শীতলকুচিতে আমাকে ৭২ ঘন্টা যেতে দেওয়া হয়নি। এগুলো কি ঠিক? আপনাদের কাছে এর বিচার চাই।” ধুপগুড়ি যাওয়ার আগে তৃণমূল সুপ্রিমো শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি জানান, “দেখা যাচ্ছে না চোখে। বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেগুলোকে মেরে দিয়েছে। ২২ থেকে ২৫ বছর বয়সের ছেলেগুলোকে বুকে গলায় মাথায় গুলি করে মেরেছে। কখনও করা যায় না এগুলো। এটা বেআইনি। যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নেব। ওই পরিবারগুলোর দায়িত্ব এখন আমাদের।”