কলকাতা: কংগ্রেস আমলে প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে চাণক্য বলা হত। ভারতীয় জনতা পার্টির চাণক্য বিবেচনা করা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চাণক্যের প্রসঙ্গ টানলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। একইসঙ্গে উঠে এল অন্য এক ঐতিহাশিক চরিত্র পাণিনি। কাকলি বললেন, এই দুজনের পথ অনুসরণ করে শাসন নীতি প্রয়োগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বলে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমোর ভূয়শী প্রশংসা করলেন তিনি।
কাকলি বলেন, চাণক্যের কথা অনুযায়ী যিনি প্রতি মুহূর্তে মানুষের কথা চিন্তা করেন, মানুষের কথা ভেবে কাজ করেন তিনিই আসল সুপ্রশাসক। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নীতি মেনে বিগত ১০ বছর ধরে বাংলায় শাসন করছেন বলে জানান কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি আরো বলেন, পাণিনি আঞ্চলিক এবং নিম্নবর্গীয় মানুষের উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছিলেন। বাংলার শাসন ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতিও এই একই রকম। যেভাবে নিম্নবর্গীয় মানুষদের পাশে থেকে এবং তাদের কথা ভেবে ক্রমাগত কাজ করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা অবশ্যই প্রশংসনীয়। এর পাশাপাশি ভারতীয় জনতা পার্টি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা নিয়েও খোঁচা মারেন তিনি। একই সঙ্গে তুলনা টানেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের।
কাকলির বক্তব্য, যিনি সুপ্রশাসক হন তিনি মানুষের স্বার্থের জন্য পরিকল্পনা মাফিক কাজ করেন। এর আদর্শ উদাহরণ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওদিকে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির কোনো পরিকল্পনা নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এতদিন পরিকল্পনামাফিক কোন কাজ করতে পারেননি। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং বেকারত্বের পরিসংখ্যান তার ব্যর্থতাই ব্যক্ত করে। একই সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ কাকলি এও দাবি করেন, বিজেপি-র সরকারের সঙ্গে রাজ্যের শাসননীতির কোনও মিল নেই। বিজেপি সর্বদা নিজেদের স্বার্থে কাজ করে। যেন তেন প্রকারেণ তারা ক্ষমতা দখল করতে চায়। তাদের আমলে কোনও উন্নয়ন হয়নি।