কলকাতা: রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় নানা ভাবে লকডাউন উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এমনকি খোদ কলকাতার বুকেও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কয়েকটি এলাকায় লকডাউনের বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে জমায়েত চলছে! দোকান পাট খোলা রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ বিরোধী বিজেপি নেতৃত্বের পাশাপাশি সাধারণ মনুষের একাংশও সামাজিক মাধ্যমে এই অভিযোগ তুলে সরব৷ এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠির প্রসঙ্গ সরাসরি উড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
গত শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের উপ সচিব শ্রীনিবাসু কে. রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়ে অভিযোগ করেছেন, ‘রাজাবাজার, গার্ডেনরিচ, একবালপুর, তপসিয়া, মেটিয়াবুরুজ এলাকায় লকডাউন কঠোরভাবে মানা হচ্ছে না। অত্যাবশ্যক পণ্য ছাড়াও বিভিন্ন দোকান খোলা রয়েছে। মাছ-মাংসের বাজারেও মানুষ সামাজিক দুরত্ব মেনে চলছে না। ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমিতদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।’ সেই সঙ্গে পুলিশ ধর্মীয় জমায়েত বন্ধেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। রাজ্যকে পাঠানো চিঠিতে শুধু সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় লকডাউন ভাঙা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেই ক্ষান্ত হয়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই সঙ্গে রেশন বণ্টন নিয়েও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে পরোক্ষে রাজনীতির অভিযোগ তুলে ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘প্রশাসনিকভাবে রেশন বণ্টন করা হয়নি। বরং রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে বিনামূল্যের রেশন বণ্টন করা হচ্ছে। যার ফলে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ছে।’ রাজ্যকে কার্যত হুমকির সুরে উপসচিব লিখেছেন, ‘এমন ঘটনা ২০০৫ সালের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী ফৌজদারি অপরাধের যোগ্য। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সে দিকে নজর দিন।’ লকডাউন কঠোরভাবে মানতে রাজ্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা নিয়েও রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।
যদিও শনিবার নবান্নে এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি পরিষ্কারই বলেন, 'এরকম কোনও চিঠি দেওয়া হয়নি রাজ্যকে।' একইসঙ্গে তাঁর উক্তি, 'দিল্লি কাদের ওপর বেশি নজর দিতে বলে, তা আমার বলার নেই। সেটা সকলেই জানেন।' একইসঙ্গে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাও এই চিঠি পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।