দিতে হবে সরকারি কর্মচারীদের টিকা! মোদীকে ফের চিঠি দিলেন মমতা

দিতে হবে সরকারি কর্মচারীদের টিকা! মোদীকে ফের চিঠি দিলেন মমতা

322edf9c571c4a613c6884a2c7fe8422

কলকাতা: এদিন করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তিনি অভিযোগ করেছেন যে, এই বৈঠকে কোনো মুখ্যমন্ত্রী কোনো কথা বলার সুযোগ পাননি। এদিকে বৈঠকের পর এই কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের করোনাভাইরাস টিকা প্রদানের আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন তিনি।

চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন, জরুরী পরিষেবা চালু রাখার জন্য একাধিক জায়গায় কর্মচারীরা কাজ করে যাচ্ছেন। রেল এবং বিমানবন্দর থেকে শুরু করে ব্যাংক, ডাকঘর সহ একাধিক ক্ষেত্রে কর্মচারীরা কাজ করে চলেছেন করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার ভয় তোয়াক্কা না করে। সেই প্রেক্ষিতে এই সমস্ত কর্মচারীদের দ্রুত যাতে টিকা দেওয়া যায় সেই ব্যাপারে পদক্ষেপ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন তিনি। যদিও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পর মমতা অভিযোগ করেছেন যে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য পাঠাচ্ছে না। রাজ্যে ভ্যাকসিনের আকাল রয়ে যাচ্ছে। তিনি জানিয়েছিলেন, বৈঠকে রাজ্যের ভ্যাকসিন এবং অক্সিজেন পরিস্থিতি কেমন তা জানতে চাননি প্রধানমন্ত্রী, করোনাভাইরাস চিকিৎসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ রেমডিসিভির আছে কী নেই, সেই ব্যাপারেও কিছু বলেননি তিনি। এদিকে তিনি দাবি করছেন করোনাভাইরাস নাকি কমে গিয়েছে। যদি কমে গিয়ে থাকে তাহলে এত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে কেন সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও দাবি করছেন, কেন্দ্রীয় সরকার পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে না বলেও এদিন ফের অভিযোগ করেন তিনি। দাবি করেন, এই মাসে ২৪ লক্ষ ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু ১৩ লক্ষ পাওয়া গেছে। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ফলাও করে বলেছিল যে বাংলায় বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে। কিন্তু এখন মুখ লুকিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সারা দেশকে বিষাক্ত করে দিয়েছেন, গঙ্গায় একের পর এক লাশ ভেসে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে কার্যত ধ্বংস করা হচ্ছে বলেও কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *