জয় শ্রীরাম বলিয়েই ছাড়ব! মমতাকে ওপেন চ্যালেঞ্জ রাহুলের

জয় শ্রীরাম বলিয়েই ছাড়ব! মমতাকে ওপেন চ্যালেঞ্জ রাহুলের

কলকাতা: জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূল তরজা দিন দিন আরও বেড়ে চলেছে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে যে ঘটনা ঘটেছে তারপর থেকে যেন এই ইস্যুতে বিতর্ক আরো বেশি করে বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা কার্যত ওপেন চ্যালেঞ্জ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন, তিনি তাঁকে দিয়ে জয় শ্রীরাম স্লোগান বলিয়েই ছাড়বেন! এক সভা মঞ্চ থেকে বক্তৃতা দেওয়ার সময় এই বক্তব্য করেন বিজেপি নেতা। একই সঙ্গে ‌’পিসি-ভাইপো’কে কপিল মুনির আশ্রমে পাঠানো হবে বলেও একহাত নেন তিনি।

দক্ষিণ কলকাতার বিজেপির এক দলীয় কর্মসূচিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে রাহুল সিনহা বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয় শ্রীরাম স্লোগানকে গালি হিসেবে মনে করেন। কিন্তু আজ নয়তো কাল ওনাকে দিয়ে এই স্লোগান বলিয়েই ছাড়বেন তিনি। পাশাপাশি রাহুল এটাও জানান, ‘পিসি-ভাইপো’ দু’জনকেই নামাবলী পরিয়ে কপিল মুনির আশ্রমে পাঠানো হবে, আর যদি তারা রাম নাম বলতে না পারে তাহলে মরা নাম বলিয়েও রাম উচ্চারণ করাবেন তিনি। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার এই মন্তব্যের পর জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির টক্কর যেন আরো বেশি বেড়ে গেল। প্রসঙ্গত, এই একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগদান কারী নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যের শাসক দলকে একহাত নিয়ে বলেন, এখানে বদলা নয় বদলের কথা বলা হয়। তবে এখন বদলা নেওয়া হচ্ছে। যে কেউ যে কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করতেই পারে, কিন্তু বাংলায় সেটা হলে সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তি শত্রু হয়ে যায়। এই বলে পরোক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন তিনি। কারণ ইতিমধ্যেই বন সহায়ক ‘দুর্নীতি’ নিয়ে নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তের সম্মতি দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা।

কিছুদিন আগেই আলিপুরদুয়ারের এক কর্মী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন যে, বন সহায়ক পদে নিয়োগে কারসাজি হয়েছে এবং যারা করেছে তারা এখন বিজেপিতে চলে গেছে। সেই নিয়ে রাজ্য সরকার তদন্ত শুরু করবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি কয়েকদিন আগেই বন মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন, কারো সঙ্গে কি কথা হয়েছে এবং কোথা কোথা থেকে সুপারিশ এসেছে এসব তিনি জানেন এবং তার রেকর্ড তাঁর কাছে রয়েছে। যদি তিনি দুর্নীতি করে থাকেন তাহলে তাঁকে দল থেকে কেন তাড়ানো হয়নি সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তবে এবার কথা মতোই বন সহায়ক দফতরের ‘দুর্নীতি’ নিয়ে তদন্তের অনুমোদন দিয়ে দিল নবান্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 5 =