ভোট শেষ হতেই মমতার মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ শোনা যাবে! আত্মবিশ্বাসী শাহ

ভোট শেষ হতেই মমতার মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ শোনা যাবে! আত্মবিশ্বাসী শাহ

e04f63e2bb7bc8aa8fc2502e5a64693a

কোচবিহার: আবারো একবার বঙ্গ সফরে এসে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে রাজ্যের শাসক দল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর এবার চরম আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে স্পষ্ট করে দিলেন যে, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন শেষ হতে হতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা যাবে জয় শ্রীরাম স্লোগান! একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ তুললেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী খালি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করেন, তাই জন্য রাজ্যের উন্নতি হয় না।

এদিন কোচবিহারের জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মন্তব্য করেন, বিগত পাঁচ বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে প্রচুর টাকা দিয়েছে কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর ভাইপো সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কেন্দ্রীয় একটা প্রকল্প চালু করতে দেননি এই রাজ্যে। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় এলে সেই সব প্রকল্প রাজ্যে চালু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে জয় শ্রীরাম স্লোগানের ইস্যু নিয়ে অমিতের বক্তব্য, মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজ্যে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছেন যে এখানে জয় শ্রীরাম বলা অপরাধ হয়ে গেছে। তাহলে কি জয় শ্রীরাম পাকিস্তানে গিয়ে বলতে হবে, প্রশ্ন তোলেন শাহ। এই প্রেক্ষিতেই তার স্পষ্ট বক্তব্য, নির্বাচন শেষ হতে হতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা যাবে জয় শ্রীরাম স্লোগান। অমিতের কথায়, বাংলায় বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে ক্রমাগত তোষণ করা হয়, সেই কারণেই এখানে জয় শ্রীরাম বলা অপরাধ। 

এর পাশাপাশি রথযাত্রা তথা বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করে এদিন অমিত শাহ বক্তব্য রেখেছেন, এটা কোনও মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তনের যাত্রা নয়, কোনও সরকার পাল্টানোর যাত্রা নয়। এই পরিবর্তন যাত্রা আসলে বাংলার পরিবর্তনের জন্য। এখানে অনুপ্রবেশকারীদের কোনো জায়গা নেই। বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী কেন, পাখিও অনুপ্রবেশ করতে পারবে না রাজ্যে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো দাবি করেন, বিজেপির এই পরিবর্তন যাত্রা আসলে ‘পিসি-ভাইপো’র দুর্নীতির অবসান ঘটাবে। বিজেপিকে ক্ষমতায় আনলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলা সোনার হয়ে উঠবে, এই বলে আশ্বাস দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *