কলকাতা: রাজ্যের সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়লাভের পর তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ দলের বিজয়ী প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করছেন। দুপুরে কালীঘাটে নেত্রীর বাসভবনের ওই বৈঠকে রাজ্যের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় হবু বিধায়কদের মধ্যে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া হতে পারে বলে তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে। পাশাপাশি ভবিষ্যৎ মন্ত্রিসভা নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। বিজয়ী প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক শেষে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বিকেলে রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। সেখানে প্রথামাফিক রাজ্যপালের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠনের দাবী করা হবে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।
২০১৬ সালের থেকেও এবার ভাল ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই জয় প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই মমতা জানিয়েছেন, অঙ্কটা ছিল ২২১৷ ২২১-এ তারাই আসবেন৷ কারণ মুর্শিদাবাদে ২টি আসনে ভোট হয়নি৷ সে দুটো তাদের৷ খড়দাও তাদের সিট৷ ফল প্রকাশের পর মহিলাদের মুখে হাসি দেখেছি, বিশেষত মা বোনেদের মুখে৷ খেলা হবে আর জয় বাংলা স্লোগান মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছে৷ তারা যে প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছিলেন… এই জয় মানুষের জয়, বাংলার জয়৷ বাংলা ভারতবর্ষকে জিতিয়েছে৷ গণতন্ত্রকে জিতিয়েছে৷ বাংলা ভারতবর্ষে বিজেপি’র ধস নামিয়েছে৷ এটাই টার্নিং পয়েন্ট৷ এমনই মত মমতার। মমতা আরও বলেন, আমি বারবারই বলেছি বিজেপি ৭০-এর বেশি পাবে না৷ তখন কেউ বিশ্বাস করেনি৷ নির্বাচন কমিশনের জন্য বেশি পেয়েছে৷ তিনি বলেন, নন্দীগ্রামে ভোট করতে দেয়নি৷ গ্রামে গ্রামে অত্যাচার করেছে সিআরপিএফ৷ টোটাল লুঠ করিয়েছে৷ বহু মিটিংয়ে বলেছি, নন্দীগ্রাম আমার চোখ খুলে দিয়েছে৷
পাশাপাশি, তিনি জানান, দল নন্দীগ্রামে পুনর্গননার দাবি জানিয়েছে৷ অনেক রকম কারচুপি করেছে৷ চার ঘণ্টা ধরে সার্ভার ডাউন করে রেখেছিল৷ তিন চারবার ডেটা ঘোষণার পরও ব্যাক আউট করেছে৷ অনেক ধরনের নোংরা খেলা হয়েছে৷ বেআইনি কাজ হয়েছে৷ তাঁর কথায়, নন্দীগ্রাম আমার কাছে কোনও বিষয় নয়৷ দল যখন ২২১টি আসন পায়, তখন একটা আসন কী হল, তা নিয়ে কিছু যায় আসে না৷