কলকাতা: দিল্লি সফরে যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সেই সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তো কথা বলবেন এছাড়াও তিনি মূলত বিএসএফ ইস্যু নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছেন বলে নিজেই জানান মমতা। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, জোর করে তিনি এলাকা দখল করতে দেবেন না বিএসএফকে।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, বিএসএফ তাঁর শত্রু নয়, তাঁর বন্ধু। কিন্তু গায়ের জোরে তিনি এলাকা দখল করতে দেবেন না। বিজেপি মনে করছে বিএসএফ মানে বিজেপি, বিএসএফ মানে বিজেপি সেফ, এটা তো ঠিক নয়। প্রত্যেকটা সংগঠনের একটা নিজস্বতা আছে। এই প্রেক্ষিতেই মমতার অভিযোগ যে বিজেপি গায়ের জোরে বিভিন্ন এজেন্সিকে নিজেদের কাজে লাগাচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই মমতা বলেন যে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি জানতে চাইবেন, বিএসএফ মানে বিজেপি সেফ কি না। পাশাপাশি তাঁর স্পষ্ট বার্তা, কেন্দ্রের গা জোয়ারি তিনি মানবেন না। এছাড়া তিনি আরও জানান যে, দিল্লিতে তাঁর সাংসদরা ধর্না দিচ্ছেন, তাই তিনি তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। যদিও তিনি ধর্নায় যোগ দেবেন না বলেই স্পষ্ট করে দেন।
আসলে ত্রিপুরায় ফের আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল এবং গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে। এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই সরগরম বাংলার রাজনৈতিক মহল। আজই এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন মমতাও। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় যে অত্যাচার হচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, বিজেপি শাসিত রাজ্যে গণতন্ত্রের কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে। সায়নীর মত একজন শিল্পীর বিরুদ্ধেও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে এবং গতকাল থেকে তাঁকে থানায় রাখা হয়েছে গ্রেফতার করে। ত্রিপুরায় বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে, এমনকি চিকিৎসা পরিষেবা পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। অনেক লোককে কলকাতার পিজি হাসপাতালে আনা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে কোথায় মানবাধিকার কমিশন, সেই প্রশ্নও তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।