কলকাতা: নতুন সরকারের প্রথম কাজ হবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা এবং সেই ঘোষণা করার পর ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রথমেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে নবান্নে গিয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে এই প্রথম কাজ শুরু করবে নতুন এবং তৃতীয় বারের পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার হাসপাতাল পরিদর্শনে বেরোলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন দুপুরে শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে গিয়ে সেখানকার সুপার এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতাল পরিকাঠামো এবং চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম ঘোষণা করেছিলেন যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য হাসপাতাল পরিকাঠামোর উপর জোর দেওয়া হবে। সেই প্রেক্ষিতে তিনি আপাতত হাসপাতাল পরিদর্শন করে সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কোন পর্যায়ে রয়েছে সেটা দেখতে চাইছেন। নবান্ন থেকে ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়েছে। রাজ্য সম্পন্ন লকডাউনে না গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন ঘোষণা করা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে সমস্ত শপিং মল, শপিং কমপ্লেক্স, বিউটি পার্লার, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, বার, জিম, স্পা, সুইমিংপুল৷ আংশিক লকডাউন জারি থাকবে রাজ্যজুড়ে৷ এছাড়াও সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং বিনোদন সংক্রান্ত সমাবেশ করা যাবে না৷ করা যাবে না রাজনৈতিক সমাবেশ৷ বিয়ে বাড়ি বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি লোক আমন্ত্রণ করা যাবে না৷ চলবে আংশিক লকডাউন৷ সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং বিকেল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে৷ এছাড়া আগামী কাল থেকে সমস্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকবে৷ রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থাও ৫০ শতাংশ করা হবে৷ কলকাতা, বাগডোগড়া এবং অন্ডাল বিমানবন্দরে কোভিড রিপোর্ট ছাড়া আসা যাবে না৷ লাগবে আরটি-পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট৷ ভুয়ো রিপোর্ট ধরতে ব়্যানডাম টেস্ট করা হবে বলেও জানান তিনি৷