মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে আগামী বছর সব থেকে বড় সভা হবে: মমতা

মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে আগামী বছর সব থেকে বড় সভা হবে: মমতা

 

কলকাতা: গোটা বিশ্বজুড়ে চলছে করোনা মহামারী৷ করোনা আতঙ্কে জেরবার সাধারণ জনতা৷ বাংলায় কোথাও কোথাও গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে বলে নবান্ন থেকে সরকারিভাবে তথ্য দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপান বন্দ্যপাধ্যায়৷ বাংলায় যখন কোথাও কোথাও গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে, ঠিক তখনই বাংলা ভোটের আগে শেষ একুশে জুলাই শহিদ স্মরণে ভার্চুয়াল সমাবেশ করতে চলেছে তৃণমূল৷ করোনা পরিস্থিতির জেরে জামায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷ ফলে এবার প্রথম ব্যতিক্রমী একুশে জুলাই উদযাপন করতে চলেছে তৃণমূল৷ জনসভা না করে ভার্চুয়াল দুনিয়ার মাধ্যমে ভাষণ দেবেন তৃণমূলসুপ্রিমো৷ আজ সকালে টুইট করে দলের কর্মীদের চাঙ্গা করতে নেত্রী দিয়েছেন বড় বার্তা৷ আগামী বছর তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এসে আরও বড় সমাবেশ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

আজ সকালে শহিদদের স্মরণে টুইট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে জানান, আজ একুশে জুলাই৷ শহিদ দিবস৷ ১৯৯৩ সালের এই দিনে গুলিবিদ্ধ হয়ে আমাদের ১৩ জন কর্মীর মৃত্যু হয়৷ রাজনৈতিক হিংসায় নিহত কর্মীদের শ্রদ্ধা জানাই৷ শহিদ স্মরণে ১৯৯৩ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সমাবেশ আয়োজন করে এসেছি৷ তবে মহামারীর এই পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ রয়েছে৷ সেই কারণে এবছর অন্যভাবে পালন করা হচ্ছে শহিদ দিবস৷ গোটা রাজ্যে দুপুর একটা থেকে দুটো পর্যন্ত বুথস্তরে একটি অভিনব প্রচার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে৷ দুপুর দুটো থেকে প্রতিটি বুথে আমার বার্তা শোনা যাবে৷ আগামী বছর আরও একবার মানুষের আশীর্বাদ পাওয়ার পর ২১শে জুলাই সবথেকে বড় সমাবেশ আয়োজন করা হবে৷’’

অন্যদিকে তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা৷ তৃণমূলের একুশে জুলাই ভার্চুয়াল সমাবেশকে ‘প্রশমন দিবস’ হিসেবে উদযাপন করার বার্তা দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ সংক্রমণের আশঙ্কা ভার্চুয়াল জনসমাবেশ এবছর বাতিল করারদাবি জানিয়েছেন লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী৷ সংবাদমাধ্যমে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শেষ একুশে জুলাই সভা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আমরা এই দিনটাকে প্রহসন দিবস বলে পালন করব৷ আমরা সাধারন মানুষকে বলছি, যারা শহিদের রক্তে হেঁটে ক্ষমতায় এসেছে, যারা বিরোধীদের শহিদ করছেন, এখানে বিরোধীদের কোনও গণতান্ত্রিক অধিকার নেই৷ এটার পরিবর্তন করে দিন, তাহলেই আমরা বুঝব, বাংলায় গণতন্ত্র রয়েছে৷ না হলে শহিদদের নিয়ে রাজনীতি করবেন না৷ আর নতুন করে কাউকে শহিদ বানাবেন না৷’’

সংক্রমণের আশঙ্কা তৃণমূলের শহিদ দিবসকে বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী৷ কংগ্রেস সাংসদ  টুইটারে লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে গোষ্ঠী সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে বিস্ময়করভাবে লকডাউন শুরু হয়েছে৷ এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আজ ভার্চুয়াল জনসভা বাতিল করার অনুরোধ করছি৷ না হলে বাংলায় করোনা পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে৷ এই ভার্চুয়াল সভা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন গ্রামে তৃণমূল কার্যালয় জনসমাগম হবে৷ এর ফলে সামাজিক দূরত্ব বিলম্বিত হতে পারে৷’’

অন্যদিকে আজ ভার্চুয়াল সভাকে কেন্দ্র করে জোরদার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে বিশাল আকার পর্দা, টিভি ও মাইকের মাধ্যমে তৃণমূল সুপ্রিমো ভাষণ শোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ চলছে জল খাবারের আয়োজন৷ এবার ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে ২১-এর নির্বাচনকে মাথায় রেখে ঠিক কি বার্তা দেনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বাংলা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four + eight =