চালকের আসনে মুখ্যমন্ত্রী! ফিরহাদকে নামিয়ে স্কুটি চালানোর চেষ্টায় মমতা

চালকের আসনে মুখ্যমন্ত্রী! ফিরহাদকে নামিয়ে স্কুটি চালানোর চেষ্টায় মমতা

কলকাতা: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ অভিনব পন্থা অবলম্বন করে ব্যাটারি চালিত স্কুটির মাধ্যমে নবান্ন গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই স্কুটি চালিয়েছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে বিকেলে নবান্ন থেকে বাড়ি ফেরার সময় ফিরহাদকে স্কুটি থেকে নামিয়ে নিজেই গাড়ি চালানো শেখার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুটা স্কুটি নিয়ে এগোলেন তবে তাঁর পাশে সাহায্যের জন্য ছিলেন দেহরক্ষীরা। পরে অবশ্য ফিরহাদ হাকিম সকালের মতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পেছনে বসিয়ে ফেরার প্রস্তুতি নেন।

সকালে এই স্কুটি চালিয়েই ফিরহাদ হাকিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে গিয়েছিলেন নবান্ন। বিকেলে ফেরার সময় মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্কুটি চালাতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে নবান্ন থেকে বেরিয়ে স্কুটিতে উঠে পড়েন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী স্কুটি চালাচ্ছে তাই জন্য বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ রাখা হয় দ্বিতীয় হুগলি সেতু। সেই কারণে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হলেও সাধারণ মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর স্কুটি চালানো উপভোগ করেছেন। প্রচুর মানুষকে দেখা যায় দ্বিতীয় হুগলি সেতু অন্য লাইনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি তুলতে এবং একই সঙ্গে ‘খেলা হবে’ স্লোগান তুলতে। হাত নাড়িয়ে তাদের অভ্যর্থনা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তবে তার স্কুটি চালানো দেখে পরিষ্কার যে তিনি একেবারেই এই ব্যাপারটায় সড়গড় নন। কারণ বেশ অনেকবারই তিনি স্কুটির টাল সামলাতে পারেননি তা স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে, তবে নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্যে বেশ কিছুক্ষণ স্কুটি চালিয়েছেন তিনি। তবে পরবর্তী ক্ষেত্রে আবার ববি হাকিমকে ডেকে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবাদ জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল। কিন্তু এবার এই সূত্রেই এক অভিনব প্রতিবাদে সামিল হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ব্যাটারি চালিত স্কুটিতে চেপে নবান্নে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে হাজরা মোড় থেকে ফিরহাদ হাকিমের স্কুটিতে চেপে নবান্নে যান মুখ্যমন্ত্রী। ব্যাটারি চালিত গাড়িতে নবান্নে পৌঁছে এদিন তিনি জ্বালানির অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নিয়ে বলেন, বিজেপি সরকার চাইছে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে সকলকে অসহায় অবস্থার মধ্যে ফেলে দিতে। নির্বাচন এলেই তারা বলে বিনা পয়সায় গ্যাস দেবে, এদিকে রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 3 =