আর কোনও জটিলতা নেই, চলতি সপ্তাহেই শপথ নিচ্ছেন মমতা

আর কোনও জটিলতা নেই, চলতি সপ্তাহেই শপথ নিচ্ছেন মমতা

কলকাতা: রবিবার উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কবে শপথ নেবেন তা নিয়ে কৌতূহল বেড়েছিল। জানা গিয়েছিল, চলতি সপ্তাহেই শপথ নিচ্ছেন তিনি। কিন্তু এই নিয়েই একটা জটিলতা দেখা গিয়েছিল। রাজ্যপালের অনুমোদন নিয়ে সমস্যা তৈরি হওয়ার মনে করা হচ্ছিল, মমতার শপথকে কেন্দ্র করেই বড় বিতর্ক বাঁধতে চলেছে। কিন্তু সব সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে টুইট করেছেন রাজ্যপাল নিজেই। আগামী ৭ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিধায়ক হিসেবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে শপথ নেবেন জঙ্গিপুর এবং শমশেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়করাও।

প্রচলিত রীতি অনুযায়ী বিধায়করা বিধানসভাতেই শপথ নেন৷ বিধানসভায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যক্ষ৷ সেই রীতি মেনে সম্প্রতি ১২জন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সংবিধানের ১৮৮ নম্বর ধারায় এটাও বলা রয়েছে, রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে রাজ্যপাল কিংবা মনোনীত কেউ বিধায়কদের শপথ নেওয়াতে পারেন৷ সেই নিয়ম মেনেই নতুন সরকার গঠিত হওয়ার সময় রাজ্যপাল সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে অনুমতি দিয়েছিলেন৷ প্রোটেম স্পিকার হিসাবে তিনি সমস্ত বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছিলেন৷ কিন্তু সেই সময় ১২ জন বিধায়ক শপথ নিতে পারেননি৷ পরবর্তী কালে অনুমতি নিয়ে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যক্ষ৷ রাজ্যপালের কাছে সেই অনুমোদন নেওয়াই থাকে৷ কিন্তু এখানে একটা গোল বেঁধেছিল৷ সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রাজভবন থেকে রাজ্যপালের অনুমতি সংক্রান্ত অর্ডার প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল৷ ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভায় শপথ নিতে হলে অধ্যক্ষকে রাজ্যপালের কাছ থেকে নতুন করে অনুমতি নিতে হত৷ রাজ্যপাল সেই অনুমতি দেবেন কিনা, তা নিয়ে শুরু হয়েছিল টানাপোড়েন৷ তবে শেষমেষ জটিলতা কেটে গিয়েছে।

এই ইস্যুতে আজ টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ৭ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বিধায়ক হিসেবে বিধানসভায় শপথগ্রহণ করবেন ভবানীপুরের জয়ী প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জঙ্গিপুরের জাকির হোসেন এবং শমশেরগঞ্জের আমিরুল ইসলাম। সকাল ১১টা ৪৫-এ হবে এই শপথগ্রহণ। উল্লেখ্য, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছেন ৫৮ হাজার ৮৩৫ ভোটে। অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন তিনি এই ব্যবধানে জিতে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *