কলকাতা: ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল এবং গ্রেফতার করা হয়েছে যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে। এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই সরগরম বাংলার রাজনৈতিক মহল। এবার এই নিয়ে উত্তাপ আরও বাড়ল কারণ মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে সায়নীর পাশে তো দাঁড়ানই, একই সঙ্গে চরম কটাক্ষ করেন বিজেপি সরকারকে। এদিন দিল্লি সফরে যাচ্ছেন তিনি, তার আগে সাংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মমতা বলেন, ত্রিপুরায় যে অত্যাচার হচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, বিজেপি শাসিত রাজ্যে গণতন্ত্রের কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে। সায়নীর মত একজন শিল্পীর বিরুদ্ধেও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে এবং গতকাল থেকে তাঁকে থানায় রাখা হয়েছে গ্রেফতার করে। ত্রিপুরায় বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে, এমনকি চিকিৎসা পরিষেবা পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। অনেক লোককে কলকাতার পিজি হাসপাতালে আনা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে কোথায় মানবাধিকার কমিশন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরো বলেন, বাংলায় কিছু না হলেও মিথ্যা কথা বলা হয় এবং ভুয়ো ভিডিও এবং ভুয়ো সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সব জায়গায় বাংলার নামে মিথ্যা কথা বলে বেড়ানো হয়। মমতার আরো সংযোজন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে মানুষের গণতন্ত্র নেই।
ইতিমধ্যেই তৃণমূল সাংসদরা দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অফিসের সামনে। সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, গতকাল থেকে তৃণমূল সাংসদরা দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আবেদন জানিয়েছেন কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সাংসদরা চেয়েছিল অমিত শাহের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাবে, কিন্তু তিনি তা বারণ করেছেন বলে জানান মমতা। তাঁর কথায়, কারুর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ ভাল দেখায় না। এই প্রেক্ষিতে মমতার বিস্ফোরক অভিযোগ, ত্রিপুরায় বিজেপির গুন্ডারা বটি, লাঠি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে পুলিশের সামনেই এবং খুন করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করতে দেওয়া হচ্ছে না। মিটিং থেকে শুরু করে মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না এবং নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে ত্রিপুরাতে।