কলকাতা: দেশে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেছে মাদ্রাসা হাইকোর্ট। তাদের বক্তব্য, কমিশনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা উচিত। এই বিষয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের বক্তব্যকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলছেন, মাদ্রাজ হাইকোর্ট যা বলছে তা তিনি স্বাগত জানাচ্ছেন। একইসঙ্গে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস অনেক আগে থেকে বলছিল যে বাকি নির্বাচন এক দফায় করে দিতে কিন্তু নির্বাচন কমিশন তা শোনেনি। মমতার অভিযোগ, শুধুমাত্র একটি দল, বিজেপির কথা মত কাজ করেছে তারা। তাঁর আরও বক্তব্য, কোথায় কোন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে আটক করতে হবে সেটাও কমিশনকে বলে দিয়েছে বিজেপি।
আসলে, যেভাবে দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এক একটি রাজ্যের অবস্থা খারাপ হচ্ছে সেই প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙুল তুলে মাদ্রাজ হাইকোর্ট জানিয়েছে, দেশে করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ একমাত্র নির্বাচন কমিশন। এর জন্য কমিশনের অফিসারদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হওয়া উচিত! এই পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাজ হাইকোর্টের স্পষ্ট বক্তব্য, সঠিক পদক্ষেপ যদি না নেওয়া হয় তাহলে ২ মে ভোট গণনা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্বাচন কমিশনকে তুলোধনা করে তিনি প্রশ্ন করেন, ভোটের প্রচার যখন চলছিল তখন সবাই কি অন্য গ্রহে ছিলেন? আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও করোনাভাইরাস প্রটোকল নিশ্চিত করতে পারেনি কমিশন, কেন পারা গেল না সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতেই ভোট গণনার দিন করোনাভাইরাস প্রটোকল নিয়ে কি ভাবনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের, তার উত্তর চেয়েছে মাদ্রাসা হাইকোর্ট। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে গোটা ব্যাপার নিয়ে কি পরিকল্পনা রয়েছে তা জানাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এমনটাই।