বাঁ পায়ে অসম্ভব ব্যথা, কী কী সমস্যা, ক্ষত কতটা গভীর, সবটাই জানালেন মমতা

বাঁ পায়ে অসম্ভব ব্যথা, কী কী সমস্যা, ক্ষত কতটা গভীর, সবটাই জানালেন মমতা

 কলকাতা:  দেবীপক্ষের সূচনা হতেই কলকাতার নামীদামি পুজোগুলির উদ্বোধন শুরু হয় মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হল না৷ তবে এবার আর সশরীরে মণ্ডপে হাজির হতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী৷ নেপথ্য তাঁর পায়ের চোট। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি এখন ঘরবন্দি৷ তাই ভর্চুয়ালিই সব পুজোর উদ্বোধন সারছেন মমতা৷ শনিবার মহালয়ার দিন দুপুরে বেশ কয়েকটি পুজোর উদ্বোধনের কর্মসূচি ছিল তাঁর৷ পাশাপাশি সূচনা করলেন ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যার। শারদ সংখ্যার প্রচ্ছদ নিজের হাতে এঁকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর লেখা একটি বইয়েরও উদ্বোধন হল আজ মহালয়ায়। ভার্চুয়াল সেই অনুষ্ঠানেই নিজের পায়ের সমস্যার কথা শোনালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তাঁর বার্তা, ‘‘কোনও বিদ্বেষ নয়। ভাগাভাগি নয়। সবাই একসঙ্গে থাকুন।” 

ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতেই একটা ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করা হয়েছে। এদিন দেখা যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাঁধে ভর করে কোনওরকমে হেঁটে এসে সেই ব্যাকগ্রাউন্ডের সামনে এসে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, “আমি ওখানে যেতাম। কিন্তু পায়ে একটা বড় সংক্রমণ হয়ে গিয়েছিল। পনেরো দিন ধরে ভুগতে হয়েছে। জীবন-মৃত্যুর মধ্যে থেকে লড়াই করে বেঁচে আছি।’’ তিনি জানান, হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। তারপর বার্সেলোনায় গিয়ে ফের পায়ে চোট পান। ফিরে অপারেশন হয়। তার পর বড় ইনফেকশন হয়ে গিয়েছিল।  টানা কদিন স্যালাইনের চ্যানেল করে আইভি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। এখন অনেকটাই সুস্থ। কিছুটা হাঁটতে পারছেন৷ 

এরপর শারদ শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের পুজো ইউনেস্কো-র হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। কটা লোক কী বলল না বলল, শুনবেন না। গুরুত্ব দেবেন না। কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। পুজো ভাল করে কাটান। নিজের এলাকায় থাকুন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *