‘রোজ হিন্দু-মুসলিম করেন, মোদীর বিরুদ্ধে কটা কমপ্লেন হয়েছে?’ প্রশ্ন মমতার

দশটা শোকজ করলেও কিছু যায় আসে না বলে ডোমজুড়ের জনসভা থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ডোমজুড়: সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছিল বিজেপি। তাঁর প্রেক্ষিতে গতকাল নির্বাচন কমিশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকজ করেছিল। এদিন ডোমজুড়ের জনসভা থেকে কার্যত সেই শোকজের উত্তর দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা প্রশ্ন তুলে তিনি বললেন, “নরেন্দ্র মোদী রোজ হিন্দু-মুসলিম করেন, তাঁর বিরুদ্ধে কটা কমপ্লেন হয়েছে?” 

এদিন মমতা বলেন, তার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ জানানো হোক উত্তর তাঁর একই হবে, তিনি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছেন একজোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিতে। মমতা বলছেন, হিন্দু-মুসলিম থেকে শুরু করে শিখ, খ্রিষ্টান, সকলে যেন জোটবদ্ধ হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেয়। এই মন্তব্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এইসব নোটিশ পাঠিয়ে তাঁর মুখ বন্ধ করে রাখা যাবে না। তাঁকে দশটা শোকজ করলেও কিছু যায় আসে না বলে ডোমজুড়ের জনসভা থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, নন্দীগ্রামের মুসলমানদের যারা পাকিস্তানি বলে আক্রমণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ হল না কেন? উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন।

নাকভি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছেন তা নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুমকি দিচ্ছেন যারা বাংলায় স্বচ্ছ এবং স্বাভাবিক ভোট করাতে গিয়েছেন। ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে এই বলে, কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে তাদের সঙ্গে কি হবে। এর পাশাপাশি তিনি আরো মন্তব্য করেন, তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলছেন শুধুমাত্র মুসলিমরা ভোট দিতে পারবে! পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি অমান্য করা হচ্ছে বারবার। সেই কারণে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানানো হয় যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *