পুরশুড়া: বিধানসভার কয়েক সপ্তাহ বাকি থাকতেই আপাতত দলবদল পরিস্থিতিতে বেশ চাপে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক বিধায়ক চলে গিয়েছেন বিজেপিতে। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের হাওড়া নেতৃত্ব প্রায় খালি, কারণ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং লক্ষ্মীরতন শুক্লা মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন, অন্যদিকে বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকেও বহিষ্কার করেছে দল। এই পরিস্থিতিতে দলবদল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে মুহুর্মুহু কটাক্ষ সহ্য করতে হচ্ছে। তবে বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়েননি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন জনসভা থেকে দলবদলুদের এক হাত নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, যারা যারা চাইছেন তাড়াতাড়ি চলে যান কারণ ট্রেন ছেড়ে দেবে!
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের বলেন, বিজেপি একটা ওয়াশিং মেশিন। চোরেরা বিজেপিতে গিয়ে কালো টাকাকে সাদা করছেন। কালো টাকা সাদা করার জন্যই শুধুমাত্র তারা বিজেপিতে যাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। এই প্রেক্ষিতেই মমতার কটাক্ষ, যারা যারা লাইন দিয়ে আছেন তারা ওদের পায়ে গিয়ে পড়ুন। যারা যেতে চাইছেন তাড়াতাড়ি যান কারণ ট্রেন ছেড়ে দেবে! এই মন্তব্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে দলবদল পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস একেবারেই চিন্তিত নয়। একই সঙ্গে এ দিনের জনসভা থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, কেউ গাছ থেকে পড়েই নেতা হয়ে যায় না! নেতা তৈরি হয় কাজের মাধ্যমে।
এই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যেই দলের একাধিক সাংসদ এবং নেতা একই সুরে মন্তব্য করেছেন। যারা যারা দল ছেড়ে দিচ্ছেন বা পদ ছেড়ে দিচ্ছেন তাদের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসে কোনো প্রভাব পড়বে না বলেই দাবি করা হচ্ছে দলের তরফে। এদিন জনসভায় বক্তব্য বলে আবারো একই দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো। এদিকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কাণ্ড নিয়েও এ দিন মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, তাঁকে তো অপমান করা হয়েছেই, অপমান করা হয়েছে বাংলা এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকেও। এই প্রেক্ষিতে তিনি দাবি করেন, বাংলা হ্যাংলা নয়, বাংলার মানুষ সংস্কৃতি ভালোবাসে।