কলকাতা: নতুন বিধায়কদের অভিনন্দন জানিয়ে আজ বিধানভায় বক্তব্য শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, মানুষের শুভ কামনায় আমরা জয়ী হয়েছি৷ এটা আমাদের অহংকার নয়, বড় অলংকার৷ বিধানসভা নির্বাচনে আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেটা পালন করেছি৷ সেই সঙ্গে তাঁর খোঁচা, সকলে বলে আচ্ছে দিন আসবে, এসে যায় বুরে দিন৷
এদিন শুরুতেই বিরোধীদের একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, বিরোধীরা বিধানসভাকে বিধানসভা বলে মনে করেন না৷ পরাজিতরা জয়ী প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানতেও আসেন না৷ তাঁরা তাঁদের মর্জি মতো বিধানসভায় আসেন৷ তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীরা বিধানসভাকে বিধানসভা বলে মনেই করেন না। যখন ইচ্ছা হয়, তখন আসেন, যখন ইচ্ছা হয় না তখন আসেন না। এতে আমার মর্মবেদনা হয়, তবে খারাপ লাগে না।’’ জয়ী প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা যাঁরা মানুষের ভোটে জিতে এসেছেন, তাঁদের অভিনন্দন। তবে মানুষের জন্য কাজ করতেই এখানে এসেছেন, সেটা মনে রাখবেন।’’ ভাষণের একেবারে শেষে ফের বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘বিরোধীদের বলব শুভ বিজয়া, শুভ দীপাবলি, শুভ ছট পুজো এবং শুভ অহঙ্কার।’’
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিধানসভায় শপথ নিলেন চার নতুন বিধায়ক, শপথগ্রহণ করালেন স্পিকার
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষকদের ১০ হাজার টাকা করে দেয় রাজ্য সরকার৷ যে চারটি জেলায় উপনির্বাচনের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা আটকে ছিল, সেই জেলাগুলিতেও টাকা দেওয়া শুরু হয়েছে৷ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে বাড়ির মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়৷ তফশিলি জাতি-উপজাতির মহিলারা পাবেন ১০০০ টাকা করে৷ তিনি আরও জানান, ১৬ নভেম্বর থেকে শুরু হবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প৷ এর জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হচ্ছে৷ ১৫ বছর ঋণ সুদের সময় পাওয়া যাবে৷ শুরু হয়েছে তরুণের স্বপ্ন৷ দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে স্মার্টফোন কেনার জন্য৷ নবম শ্রেণিতে উঠলেই দেওয়া হবে সবুজ সাথী সাইকেল৷