জলপাইগুড়ি: চার দফার নির্বাচন শেষে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে গতকাল শীতলকুচির ঘটনাকে কেন্দ্র করে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ভোটারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস সংঘাত। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আজ সেখানে যাওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচন কমিশন যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তার প্রেক্ষিতে তিনি সেখানে যেতে পারেননি। যদিও ভিডিও কলের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপিকে এক হাত নিয়েছেন মমতা। একইসঙ্গে গতকালের মৃত্যুর জন্য বিজেপিকে আক্রমণ করে একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
এদিন জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় জনসভা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গতকাল যা ঘটনা ঘটেছে তার থেকে বড় গণহত্যা এর আগে হয়নি। বিজেপি গণহত্যা করে গণতন্ত্রের হত্যা করেছে। এই প্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মমতার প্রশ্ন, ‘আর কত হত্যা হবে?’ তিনি আরো বলেন, জোর করে বাংলাকে গুজরাট বানানো যাবে না। সবার থেকে আগে নিজের মুখ আয়নায় দেখার পরামর্শ নরেন্দ্র মোদীকে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করে মন্তব্য করেছেন যে তিনি গতকালের ঘটনার জন্য ধিক্কার জানান। একইসঙ্গে ফের একবার আশ্বস্ত করে ঘোষণা করেছেন, গতকাল বাহিনীর গুলিতে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারকে সবরকম সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। মমতার আরো সংযোজন, গতকাল যে অন্যায় হয়েছে সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং তাই তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিতে হবে। বুলেটের জবাব ব্যালটে দিতে হবে বলে ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছেন, নরেন্দ্র মোদীদের বাংলা জিততে দেবেন না তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে তাঁর আরো মন্তব্য, যারা গুলি করে লোক মারে তাদের ভোট পাওয়ার কোন যোগ্যতা নেই।
ঘটনাস্থলে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আগেই নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছিলেন, তথ্য লুকানোর জন্যই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে! এই কারণেই আগামী তিন দিন সেখানে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই প্রেক্ষিতে মমতার কথা, নির্বাচন কমিশন যা করছে তা নজিরবিহীন।