কলকাতা: রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হানা দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো কাটতে না কাটতেই গোয়েন্দা সংস্থার এই বাড়বাড়ন্ত নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তিনি। তবে শুধু জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ইস্যু নয়, দলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর পরিবারকে বারবার ‘হেনস্থা’ করা নিয়েও বড় অভিযোগ করেন মমতা।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, বারবার তলব করে একই জিনিস জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। পুজোর মধ্যেও হেনস্থা করার চেষ্টা করা হয়েছে। মমতা বলেন, তাঁর নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তো এমনটা হয়েই আসছে। এই প্রসঙ্গেই তাঁর দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে থেকে ৮১-৮২ সালের নথি চাওয়া হচ্ছে। তখন সে জন্মায়নি, তাহলে নথি আসবে কোথা থেকে, প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার অভিযোগ, নাম বলানোর জন্য অত্যাচার চালানো হচ্ছে এইভাবে। পাশাপাশি বিজেপি নেতাদের বাড়িতে কেন তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সেই প্রশ্নও তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
বৃহস্পতিবার সাতসকালে রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)৷ পাশাপাশি তল্লাশি শুরু হয় ১২ টি জায়গায়৷ এই ইস্যুতে মমতার চরম হুঁশিয়ারি, ”বালুর (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) অনেক সুগার, স্বাস্থ্য খারাপ। ও যদি মারা যায়, তা হলে বিজেপি এবং ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর করতে হবে আমাদের।” এরপর তিনি প্রাক্তন সাংসদ সুলতান আহমেদের প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, ”আমাদের সাংসদ ছিলেন সুলতান আহমেদ। তিনি মারা গিয়েছেন। সিবিআইয়ের থেকে একটি চিঠি পাওয়ার পরই ওয়াশরুমে যান। সেখানেই মারা যান। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীও একই ভাবে মারা গিয়েছেন।”