ভেকধারী সরকারের ফেকধারী বাজেট! এবার হয়তো ব্যাঙ্কবন্দি: মমতা

ভেকধারী সরকারের ফেকধারী বাজেট! এবার হয়তো ব্যাঙ্কবন্দি: মমতা

শিলিগুড়ি: বাজেট সম্পন্ন হওয়ার পর যে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী তাতে তিনি এই বাজেটকে জনদরদি, আত্মনির্ভরের স্বপক্ষে শক্তি এবং দায়িত্বশীল বাজেট বলে অভিহিত করেছেন। তবে শিলিগুড়ি থেকে জনসভা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বাজেটকে একেবারেই সাধারণ মানুষের বিপক্ষের বাজেট বলে তুলোধোনা করলেন কেন্দ্রীয় সরকারকেই। তিনি চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে মন্তব্য করলেন, এটা ভেকধারী সরকারের ফেকধারী বাজেট! একই সঙ্গে অভিযোগ করলেন, সেসের টাকা পায় না রাজ্য।

এ দিন মমতা বলেন, আজকের বাজেট কৃষক এবং সাধারণ মানুষের বিপক্ষের বাজেট হয়েছে। একের পর এক মিথ্যে কথা বলার মতই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, আবারো জিনিসের দাম বাড়বে কিন্তু বীমার টাকা পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। এ দিকে কেন্দ্রীয় সরকার হয়তো আবার নোটবন্দীর মত ব্যাঙ্কবন্দী করার চিন্তা ভাবনা করছে বলেও কটাক্ষ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ১৫ লক্ষ টাকা দেবে বলেছিল, এখন হয়তো উল্টে ১৫ লক্ষ টাকা কেটে নেবে। একই সঙ্গে এদিন মমতার অভিযোগ, পুঁজিপতিদের টাকা মওকুফ করা হচ্ছে কিন্তু সাধারণ গরিব মানুষের টাকা মুকুব করা হচ্ছে না। এ দিকে পেট্রোপণ্যে কৃষি সেস বসিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়ে আরো বলেন, চা শ্রমিকদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। নির্বাচনের আগে বলেছিল এখানে চা বাগান খুলে দেওয়া হবে কিন্তু এখনো পর্যন্ত তা হয়নি। এ দিকে সেসের টাকা রাজ্য পায় না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। জানিয়েছেন সব টাকা কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ে চলে যায়। এই প্রসঙ্গে সবাই আসা প্রত্যেকের উদ্দেশ্যে মমতার একটাই বার্তা, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো কথা বিশ্বাস করবেন না।

এ দিন বাংলার জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বাজেটে সেই প্রসঙ্গে ও কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা ইতিমধ্যেই কাজ চলছে। সবাই সেটা দেখতেও পাচ্ছে। তাহলে এখন নতুন করে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা কি কাজ করা হবে সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন বাজেটে সড়ক প্রকল্পের জন্য টাকা বরাদ্দ করেছে ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কেন্দ্র কাজ না করলে ঘেরাও করার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর, দিলেন চরম হুঁশিয়ারি

বীরভূমে এদিন প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

বোলপুর: বীরভূমে এদিন প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করা থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যুতে আলোচনা করেন তিনি। যদিও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে হুঁশিয়ারি দিতে এখানেও কোন রাখঢাক করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনএইচ-৬০ বাইপাসের কাজ বন্ধ থাকার বিষয়কে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। 

এদিন প্রশাসনিক সভায়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হয়, এনএইচ-৬০ বাইপাস রাস্তার কাজ বিগত ১০ বছর ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। কোন কাজ হচ্ছে না। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাবে জানান, এটির দায়িত্ব সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় সরকারের কারণ এই কাজ তাদের অধীনে, রাজ্যের অধীনে নয়। মমতা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার কৃষ্ণনগরেও একই জিনিস করেছে। ওরা সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করছে। রাজ্য সরকার সমস্ত জমি এবং নিজেদের তরফ থেকে কাজ করে দেবার পরেও কেন্দ্র সেই কাজ করছে না। তবে কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিতে হবে সে ব্যাপারেও পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতার পরামর্শ, রাস্তায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করে পোস্ট দিতে হবে। দরকার পড়লে এই ব্যাপারে মিটিং-মিছিল করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নজর কাড়তে হবে। দাবি করতে হবে এই রাস্তার কাজ সম্পন্ন করে দেওয়ার জন্য নয়তো, রাজ্য সরকারকে দায়িত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য যাতে তারা সেই কাজ করে নিতে পারে। একই সঙ্গে তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, আপাতত মিটিং মিছিল করে বিষয়টাকে তুলে ধরার চেষ্টা করতে, বাকি কাজ তিনি সামলে নেবেন। উল্লেখ্য এদিন, ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচি আনতে চলেছে রাজ্য৷

সোমবার দুপুরে বোলপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এ কথা ঘোষণা করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ছোট ছোট কাজ করার জন্যই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী৷  এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী বছর ২ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। এই কর্মসূচির জন্য একটি পৃথক টাস্ক ফোর্সও গঠন করা হয়েছে। ছোট খাটো সব ধরনের কাজ এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত বলে জানানো হয়েছে৷ বড় বড় সেতু তৈরির কথা এখানে হবে না৷  ছোট কালভার্ট, পাড়ার শৌচাগার বা অতিরিক্ত ক্লাসরুম তৈরির মতো বিষয়গুলি এই কর্মসূচির মাধ্যমে সমাধান করা হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *