জামবুনি: বিশ্বভারতী এবং নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে নিয়ে বিগত কিছুদিন ধরেই ব্যাপক চর্চা চলছে বাংলায়। একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করা হচ্ছে নোবেল জয়ীর উদ্দেশ্যে একইসঙ্গে বিশ্বভারতী নিয়ে বিতর্ক চলছে। এই আবহেই এদিন বোলপুরের রোড শো করার পর জামবুনিতে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে সোনার বাংলা এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একইসঙ্গে বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি।
বাংলায় রাজনৈতিক প্রচারে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে বাংলার বিজেপি নেতারা একাধিকবার মন্তব্য করেছেন যে, বিজেপি ক্ষমতায় এলে সোনার বাংলা গঠন হবে। এই প্রসঙ্গেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সোনার বাংলার স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিজেপির নতুন সোনার বাংলা চাই না কারোর! একইসঙ্গে বিশ্বভারতী এবং অমর্ত্য সেন প্রসঙ্গে মমতা বলেন, দিনের-পর-দিন নোবেলজয়ী বাঙালিকে অপমান করা হচ্ছে, আক্রমণ করা হচ্ছে। বিশ্বভারতীতে অবৈধ প্রাচীর নির্মাণ করে একটা ধর্মান্ধ নোংরা রাজনৈতিক দল শুধুমাত্র রাজনীতি করে যাচ্ছে। বাংলার মানুষ এসব মেনে নেবে না, বাংলায় এসব বরদাস্ত হবে না। পাশাপাশি এদিন আবারো বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতাদের বহিরাগত বলে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করেন, কেন্দ্র থেকে যারা বাংলায় আসছেন তারা কেউই পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানেন না, তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে জানেন না। কেন্দ্রীয় নেতারা বলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মেছেন নাকি বিশ্বভারতীতে, এদিকে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করার ৬০ বছর পর তিনি বিশ্বভারতী তৈরি করেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট কথা, বিজেপি যে সোনার বাংলা গঠনের কথা বলছে সেই নতুন সোনার বাংলা কারোর দরকার নেই। রবীন্দ্রনাথ যেদিন লিখেছিলেন ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’, সেদিনই বাংলা সোনার হয়ে গিয়েছে। নতুন করে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখানোর কোন দরকার নেই বিজেপির, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। মমতা আরো বলেন, এখন বিজেপি বিশ্বভারতীতে ভিন্ন রাজনীতির আমদানি করছে, বিদ্বেষমূলক রাজনীতি করা হচ্ছে।