হলদিয়া: বিজেপির প্রতি আক্রমণের ঝাঁজ যেমন বানিয়েছেন তিনি, তেমনি দলবদল করা তৃণমূলীদের বলে বলে একহাত নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন হলদিয়া থেকে জনসভা করে ফের একবার এমনটাই করলেন তিনি। যদিও প্রত্যক্ষভাবে কারোর নাম নিলেন না। তবে মমতার বক্তব্য পরিষ্কার তিনি আসলে কার কথা বলতে চাইছেন।
এদিন হলদিয়ার জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পূর্ব মেদিনীপুর, হলদিয়ার আসতে গেলে তাঁকে অনুমতি নিতে হত। যে এখানে ছিল, সেই আপদ বিদায় হয়েছে বলে তিনি বেঁচে গেছেন! মমতার কথায়, এবার থেকে যখন খুশি তিনি এখানে আসতে পারবেন আর কাজ করতে পারবেন। কেউ তাকে বাধা দিতে পারবে না। প্রসঙ্গত, গতকালও জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে একই রকম মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, মেদিনীপুরে আসার জন্য নাকি তাঁকে অনুমতি নিতে হত! আজ ফের একবার নাম না করে কটাক্ষ করলেন তিনি। কাকে করলেন, সেটা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন মমতা আরো বলেন, কয়েকটা টেলিভিশন চ্যানেলকে কিনে নিয়ে, তাদের মালিকদের ভয় দেখিয়ে নিজেদের প্রচার করছে বিজেপি। বলছে তারা নাকি ৬৮ শতাংশ ভোট পাবে! এই প্রসঙ্গে মমতার কটাক্ষ, আগে ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে দেখাক বিজেপি।
আরও পড়ুন- ফের টলিউড যোগ রাজনীতিতে, তৃণমূলে এলেন নীল-তৃণা
তিনি আরো বলেন, কেউ যেন সিপিএমকে ভোট না দেয় কারণ সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া। কঙ্কাল কাণ্ডের যারা মালিক তারা এখন বিজেপিতে বলেও দাবি করেন তিনি। জনসভায় আগত সকলের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ২৭ তারিক সকলে এমন গোল মারবেন যাতে বিজেপি বোল্ড আউট হয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়! একইসঙ্গে তিনি বিজেপিকে দাঙ্গাকারী এবং কৃষক হত্যাকারী বলে আক্রমণ করেন। তিনি আরো বলেন, একদিকে রয়েছে বিজেপি’র মতো দল৷ আর অন্যদিকে রয়েছে মেদিনীপুরের কিছু গদ্দার, মীরাজাফর৷ যাঁদের আমি এতদিন পুষেছিলাম৷ যাঁদের জন্য মিলন মণ্ডলকে ২ বছর জেলে থাকতে হয়েছে৷ আনিসুরকে জেলে ভরে দিয়েছে৷ এই আনিসুরের বাইকে করেই আমি নন্দীগ্রামে পৌঁছেছিলাম৷ সেই সময় সিপিএমের হার্মাদরা আমাকে নন্দীগ্রমে পৌঁছতে দিচ্ছিল না৷