তৃণমূলে গেলে কালো, বিজেপিতে ভালো! রাণাঘাটে রাগ দেখালেন মমতা

তৃণমূলে গেলে কালো, বিজেপিতে ভালো! রাণাঘাটে রাগ দেখালেন মমতা

ee8710e6c7dd487e129cfff29d49e74b

রাণাঘাট: আর কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা, তারপর এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই বাংলার রাজনৈতিক উত্তাপ রীতিমতো চরমে উঠেছে, দলবদলের পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একে অপরের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার গতি প্রকৃতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়বে না। দলবদলকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। মন্ত্রী থেকে শুরু করে একাধিক বিধায়ক দল ছেড়ে যোগ দিয়েছে বিজেপিতে। সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন রানাঘাটের জনসভা থেকে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, তৃণমূলে কেউ আসলে সব কালো, আর বিজেপিতে গেলে সবাই ভালো।

এদিন নদীয়ার রানাঘাটে জনসভা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপিতে মিথ্যে কথা বলার কোন জুড়িদার নেই। এমন ভাবে মিথ্যে বলে যেটা সবাই বিশ্বাস করে ফেলে। ভোট আসলে বিজেপি বলবে সবার চাকরি দেবে, বলবে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেবে, এদিকে ভোট শেষ হলেই ডুগডুগি বাজিয়ে পালিয়ে যায়। দলবদলের প্রসঙ্গে মমতা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসে কেউ এলে সে কালো, বিজেপিতে গেলে ভালো। একই সঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূলে গেলে ঘষটা সাবান, বিজেপিতে গেলে কেউ হয়ে যায় সানলাইট পাউডার। বিজেপি ওয়াশিং মেশিন বলে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি ফের একবার দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস এনআরসি, এনপিআর কিছুতেই করতে দেবে না। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো দাবি করেন, এই জেলার মসলিন তীর্থ থেকে শুরু করে শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর, কালিয়াগঞ্জ এবং নবদ্বীপ মিলিয়ে প্রচুর জায়গায় অনেক কাজ করেছে রাজ্য সরকার। আগে এইসব জায়গায় রাজনীতি ছাড়া কিছুই হতো না বলে দাবী তাঁর।

এদিন মমতা নোট বন্দি এবং বেকারত্ব নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা মারেন। বলেন, এখন গোটা ভারতবর্ষ ভেঙে পড়েছে। হঠাৎ করে নোট বন্দি করা হলো, এরপর করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গৃহবন্দি হয়ে গেল সবাই। মমতার কটাক্ষ, এরপর জেলবন্দি করবে সরকার, তারপর যখন হেরে যাবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো বলবে তারা জিতেছে। একইসঙ্গে, প্রত্যেকবার নির্বাচনের আগে ভুরিভুরি মিথ্যে কথা বলে গেছে বিজেপি সরকার। একবার বললো ভোটে জিতলেই সকলের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে পৌঁছে যাবে। একবার বলল ভোটে জিতলেই ২ কোটি কর্মসংস্থান হবে বছরে, কিন্তু এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর কমপক্ষে ৪০ শতাংশ মানুষ কাজ হারিয়েছেন বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *