মতুয়াদের জন্য কিছু না করে থাকলে রাজনীতি ছেড়ে দেব! চ্যালেঞ্জ মমতার

মতুয়াদের জন্য কিছু না করে থাকলে রাজনীতি ছেড়ে দেব! চ্যালেঞ্জ মমতার

বারাসত: প্রচারে নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতেই বারাসতের জনসভা করে বিজেপি সরকারকে একের পর এক ইস্যুতে একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মতুয়া সম্প্রদায় এবং পাহাড়ের গোর্খাদের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করে বললেন, জায়গায় জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে খেঁপাচ্ছে তারা।  

মমতার কথায়, মতুয়াদের নির্বাচনের আগেই মনে পড়ে বিজেপির, তার পরে আর পড়ে না। মমতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়াদের জন্য কিছু করেনি। তিনি চ্যালেঞ্জে নিচ্ছেন, যদি মতুয়াদের জন্য কিছু না করে থাকেন তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। আর যদি সত্যি প্রমাণ না করতে পারে বিজেপি তাহলে কান ধরে উঠবস করতে হবে ওদের, তিনিও কান ধরে উঠবস করতে রাজি। এর পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, বিজেপির সিন্ডিকেট, নরেন্দ্র মোদী আর অমিত শাহ। জলপাইগুড়িতে গিয়ে বলছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজবংশীদের নিয়ে কিছু বলছেন না। কিন্তু তিনি তো পাঁচজনেরই নাম লিখেছেন। তিনি তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুতেও শোকাহত হন, আবার অন্য দলের কেউ মারা যাক, সেটাও তিনি চান না, বলেন মমতা। তাঁর আরও অভিযোগ, দার্জিলিংয়ে গিয়ে এনআরসির কথা অস্বীকার করেছে বিজেপি। বলছে, তিনি নাকি মিথ্যে বলেছেন।

তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে শুরু করে চুনোপুটি, কেন্দ্রীয় এজেন্সি থেকে শুরু করে সকলকে দিয়ে তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মমতা বলছেন, তাঁকে কি করে আটকানো যায়, বাংলাকে কী ভাবে অসম্মান এবং অপমান করা যায়, কিভাবে বাংলাকে দখল করা যায় তার অশুভ প্রচেষ্টা চলছে। ভারত সরকারের যত এজেন্সি, সবই আছে বিজেপির কাছে। কিন্তু তাও তারা হারবে, কারণ তিনি স্ট্রিট ফাইটার, দাবি করেন মমতা। তিনি বলেন, তিনি যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে লড়াই করেন, ওপর থেকে নির্দেশ দেন না খালি। প্রসঙ্গত, গতকাল নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আজ দুপুরে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে একক ধর্না দেন তিনি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × five =