নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ, আগামীকাল ধর্নায় বসেছেন মমতা

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ, আগামীকাল ধর্নায় বসেছেন মমতা

কলকাতা: উস্কানি মূলক মন্তব্যের কারন দেখিয়ে ২৪ ঘন্টার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এই সিদ্ধান্তের কারণে কার্যত পঞ্চম দফার আগে প্রচারই করতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে এবার ধর্নায় বসতে চলেছেন তিনি। নিজেই টুইট করে একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা টুইটে লিখেছেন, “নির্বাচন কমিশনের অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক সিদ্ধান্তের জন্য আমি আগামীকাল গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দুপুর ১২ টা থেকে ধর্নায় বসতে চলেছি।”  

 

মুসলিম ভোটার এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য করেছিলেন তার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন যে উত্তর চেয়েছিল তাতে সন্তুষ্ট হয়নি তারা। প্রত্যেকটি বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে উত্তর দেওয়া হয়নি, আংশিকভাবে উত্তর দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে শীতলকুচির ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি রবিবার ঘটনাস্থলে যাবেন। কিন্তু তার আগেই নির্বাচন কমিশন ওই এলাকায় রাজনৈতিক দলের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেই প্রেক্ষিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করেন। এমনকি তার আগেও একাধিকবার তিনি দাবি করেছেন যে বিজেপির নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশন কাজ করছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন বিজেপির শাখা সংগঠন! অন্যদিকে চরম আক্রমণাত্মক হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলছেন, আজ গণতন্ত্রের কালো দিন। কুণাল জানাচ্ছেন, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে প্রার্থী সায়ন্তন বসু এবং রাহুল সিনহা একের পর এক প্ররোচনামূলক মন্তব্য করে যাচ্ছেন এবং উস্কানি দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এই ধরনের মন্তব্যের যিনি প্রতিবাদ করছেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপির রাজনীতি দিয়ে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিজেপির শাখা সংগঠনের মত কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। এই প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, বাংলার মানুষ এই অপচেষ্টার জবাব দেবেন ভোটের মাধ্যমে, বাংলার মানুষ কখনই এই জিনিস মেনে নেবেন না। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন টুইট করে মন্তব্য করেছেন, তারা আগে থেকেই জানেন যে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস জিততে চলেছে। সেই প্রেক্ষিতে আজ যা সিদ্ধান্ত হয়েছে তা গণতন্ত্রের পক্ষে কালো দিন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − five =