মানকুণ্ডু: নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা করেছেন সেই প্রসঙ্গে আজ চন্দননগরের জনসভা থেকেও তাঁকে আক্রমণ করতে ছাড়লেন না বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে গিয়ে বলছেন সেটা তার মেজ বোন, বড় বোন নাকি ভবানীপুর। শুভেন্দুর কথায়, মমতার মাথা কাজ করছে না, হিসাব মেলাতে পারছেন না।
এদিন জনসভায় শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রাম এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন সেটা নাকি তার মেজ বোন, ভবানীপুর হচ্ছে বড় বোন। এবার হয়তো ঝাড় গ্রামে গিয়ে বলবেন নিতাই তার ছোট বোন। শুভেন্দুর কটাক্ষ, মমতার মাথা কাজ করছে না, হিসাব মেলাতে পারছেন না। একইসঙ্গে এদিন ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি দাবি করেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে দু’জায়গায় দাঁড়াতে দেবেন না। দাঁড়াতে গেলে এক জায়গাতেই দাঁড়াতে হবে। অন্যদিকে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস কেন ছাড়লেন সেই ব্যাপারেও শুভেন্দু বলেন, ২১ বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেস দল করার পর তিনি বুঝতে পেরেছেন সেটা এখন আর রাজনৈতিক দল নেই একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হয়ে গেছে। রাজ্য মন্ত্রিসভায় সব মন্ত্রী একজন ল্যাম্পপোস্ট, এখানে শুধু একটাই পোস্ট, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কর্মচারী হয়ে কোন দলে থাকতে পারবেন না বলে সেই দল ছেড়েছেন বলে দাবি করলেন শুভেন্দু। তাঁর কথায় সহকর্মী এবং সহযোদ্ধা হিসেবে এই দলে থাকতে পারেন তিনি।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলার পাশাপাশি আরো একবার শুভেন্দু দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেস এখন ডেরজনের পার্টি হয়ে গেছে। মালিকের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ম্যানেজিং ডিরেক্টর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে আউটসোর্স করে একজনকে নিয়ে আসা হয়েছে, যার থেকে বুদ্ধি নিচ্ছেন মাননীয়া। এই প্রসঙ্গে তিনি যে প্রশান্ত কিশোরকে আক্রমণ করেছেন তা বলাই বাহুল্য। একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী আরও অভিযোগ তোলেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্প রাজ্যের নামে চালানো হচ্ছে এখানে। সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দিয়ে নাম কেনার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।