কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হিংসা এবং অশান্তির ঘটনার কোনও শেষ নেই। বিরোধীরা দাবি করেছে, রাজ্যের প্রায় সর্বত্র এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে এবং ৪০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। যদিও এই মৃতের সংখ্যা না মেনেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আজ সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন, অশান্তির কারণে বঙ্গে প্রাণ গিয়েছে ১৯ জনের আর ভোটের দিন ৭ জনের। তাহলে কোন কোন জায়গার অশান্তিতে এই মৃত্যু? মমতা বলেন, যে কোনও মৃত্যুই দুঃখের। তবে ভোটে বিক্ষিপ্ত কিছু জায়গায় অশান্তি হয়েছে।
নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতার দাবি, যে জায়গাগুলিতে ঘটনা ঘটেছে সেখানে আজ নয়, চিরকাল ঘটে। যদিও ২৫-৩০ বছরের ইতিহাস দেখা যায়, তবে বোঝা যাবে যে ওই কটা জায়গাতেই গণ্ডগোল হয়। ডোমকলে ঝামেলা হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের, জিতেছে বিরোধীরা। ভাঙড়ে গণ্ডগোল হয়েছে, সেখানেও বিরোধীরা জিতেছে, তৃণমূল জেতেনি। এরপর তিনি বলেন, সব মিলিয়ে ৭১ হাজার বুথে ভোট হয়েছে, আর গণ্ডগোল হয়তো হয়েছে ৬০টি বুথে। সেখানেও বিরোধীরা ঘটনা ঘটিয়েছে। মমতার স্পষ্ট কথা, আসল ঘটনা ঘটেছে দুটো জেলায় আর বাকি ২৩টি জেলার ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে।
যদিও আজ নির্বাচন কমিশনকেও তুলোধোনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ”জলের বোতল নিয়ে গিয়ে জল ঢেলে দেওয়া হচ্ছে। কেন গ্রেফতার করবেন না? এই রেওয়াজ বন্ধ করতে হবে।” এই প্রসঙ্গে তাঁর বার্তা, আগামী প্রজন্মের জন্য তাঁদের লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা। কেউই হিংসা চায় না, বহু মানুষ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।