‘নন্দীগ্রামের অপর নাম সংগ্রাম, আমি স্ট্রিট ফাইটার’! মনোনয়ন জমা দিয়ে মমতা

‘নন্দীগ্রামের অপর নাম সংগ্রাম, আমি স্ট্রিট ফাইটার’! মনোনয়ন জমা দিয়ে মমতা

নন্দীগ্রাম: গতকাল নন্দীগ্রামে গিয়ে কর্মী সভা করেছেন। এদিন শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সেখানে মনোনয়ন পেশ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ হলদিয়ার মহকুমা শাসকের দফতরে গিয়ে মনোনয়ন পেশ করলেন তিনি। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, নন্দীগ্রামের অপর নাম সংগ্রাম! একই সঙ্গে নিজেকে স্ট্রিট ফাইটের হিসেবে বিশ্বাস করেন বলে দাবি করেছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী।

মনোনয়ন পেশ করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এখানে যখন তিনি সভা করতে এসেছিলেন তখন বিধায়ক ছিল না। তাই তিনি নন্দীগ্রামের মানুষের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তিনি যদি এখানকার প্রার্থী হন তাহলে কেমন হবে। সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাসের এবং উন্মাদনার জবাব পেয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এখানে প্রার্থী হবার বলে জানিয়েছেন মমতা। গতকালের মতো এদিনও তিনি বলেন, এবার ভেবেছিলেন সিঙ্গুর অথবা নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনে লড়বেন। অবশেষে নন্দীগ্রামে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতেই নন্দীগ্রামের মানুষের প্রশংসা করে তিনি বলেন, নন্দীগ্রামের আন্দোলনে তিনি প্রথম থেকে সামিল ছিলেন, অনশন করেছেন, ধর্না দিয়েছেন। এই নন্দীগ্রামের অপর নাম সংগ্রাম বলে দাবি করেছেন মমতা। একই সঙ্গে নিজেকে স্ট্রিট ফাইটের হিসেবে ভাবেন বলেও ব্যক্ত করেছেন তিনি। পাশাপাশি আশা করছেন, নন্দীগ্রামে মানুষ তাঁকে জেতাবেন, একইসঙ্গে রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরাও জয়লাভ করবেন।

আরও পড়ুন: ১৪ বছর পর ফের বঙ্গ রাজনীতির কেন্দ্রে নন্দীগ্রাম, ভোট উত্তাপে ফুটছে বাংলা

২০০৭ সালের ১৪ মার্চের নন্দীগ্রাম হয়তো গোটা বাংলার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের বীজটা বুনে দিয়েছিল। কেমিক্যাল হাব গড়ার জন্য নন্দীগ্রামে জমি অধিগ্রহণ করতে চেয়েছিল তৎকালীন বাম সরকার। কিন্তু তার বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছিল ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। তৃণমূল সমর্থিত এই কমিটির সঙ্গেই সিপিএম ক্যাডারদের ব্যাপক সংঘর্ষে সেদিন রক্তাক্ত হয় ইতিহাসের পাতা। সেদিনের সেই সংগ্রামের স্মৃতি ফিরে ফিরে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবারের প্রচারেও। মাঝে মাঝেই তিনি বলে উঠেছেন, “ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *