পুরশুড়া: সম্প্রতি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন জয় কংগ্রেসের রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, তিনি কোনো মন্ত্রী হিসেবে নয়, দলের একজন কর্মী হিসেবেই থাকতে চান। এদিন জনসভা থেকে বক্তৃতা দিয়ে নাম না করেও জানো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট বললেন, তিনি কোন নেতা নন, দলের সাধারণ কর্মী এবং সেভাবেই থাকতে চান। সবাইকেই এভাবেই তিনি ভালোবাসেন। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসকে এক হাত নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী নতুন স্লোগান তুলেছেন। এদিন তারও পাল্টা দিলেন মমতা।
পুরশুড়া জনসভা থেকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি চিরকাল বলি আমি নেতা নই। আমি একজন কর্মী, আমার বুথের কর্মীকে আমি যেমন ভালোবাসি, আমার বুথ কর্মীরা আমার গর্ব। আমি বুথ কর্মী হিসেবে থাকতে চাই। আমি নেতা নই, আমি জনগণের একজন সেবক।” এর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে জনগণের পাহারাদার হিসেবেও পরিচিতি দেন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ তাকে সব সময় পাবে, গঙ্গায় নৌকা ডুবে যাবার সময়, দুর্ঘটনার সময়, বাজারে আগুন লাগার সময়, এমন কি কেউ খেতে না পেলেও তার দেখা মিলবে। এই ক্ষেত্রে প্রথম কাজ তিনিই করেন কারণ, কাজ করা টাই তাঁর কাজ, মন্তব্য মমতার। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, কেউ গাছ থেকে পড়েই নেতা হয়ে যায় না! নেতা তৈরি হয় কাজের মাধ্যমে। এই প্রেক্ষিতেই মমতা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ কর্মীদের জন্যই আজকের সভা। এই সভা তিনি তাদের উদ্দেশ্যে উদযাপন করছেন। কারণ বুথ কর্মীরাই দলের সম্পদ, তারাই দলের হয়ে কাজ করে। তারাই রোদ-ঝড় অগ্রাহ্য করে ঘুরে বেড়ায়, ভোটার লিস্ট তৈরি করে, ভোটারদের নাম লেখে। সারাবছর তারাই দলের জন্য কাজ করে। সেই জন্যই তিনি আজকের সভার তাদের প্রতি উদযাপন করছেন। এই প্রসঙ্গেই তাঁর বক্তব্য, কাজের মাধ্যমেই নেতা তৈরি হয়, গাছ থেকে পড়ে হয় না।
এদিকে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক আক্রমণে স্লোগান তুলেছেন ‘হরে কৃষ্ণ, হরে হরে, বিজেপি ঘরে ঘরে’। এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে পাল্টা স্লোগান তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘হরে কৃষ্ণ হরে হরে, তৃণমূল ঘরে ঘরে।’ একইসঙ্গে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসকেও আক্রমণ করে স্লোগান তোলেন মমতা। দাবি করেন, সিপিএম এবং কংগ্রেস বাংলা এনেছে বিজেপিকে। এবার সেই প্রেক্ষিতেই মুখ খুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরশুড়ার জনসভা থেকে স্লোগান তুললেন, “হরে কৃষ্ণ হরে রাম, বিদায় নাও বিজেপি-বাম”! যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে আসছে তারা।