রাজ্যপালকে টুইটারে ‘ব্লক’ করেছেন মমতা! কারণ জানালেন নিজেই

রাজ্যপালকে টুইটারে ‘ব্লক’ করেছেন মমতা! কারণ জানালেন নিজেই

কলকাতা: রাজ্য এবং রাজ্যপাল সংঘাত আবার নতুন মোড় নিয়েছিল কারণ সম্প্রতি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যকে ফের আক্রমণ করেছিলেন জগদীপ ধনকড়। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাংলার আইন-শৃঙ্খলা প্রসঙ্গও টেনে মমতার সরকারকে একহাত নেন তিনি। এর পাশাপাশি দুর্নীতি নিয়ে তো তিনি প্রথম থেকে সরব। হালে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে টুইটে ট্যাগ করে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রশ্ন করেছেন তিনি, উত্তর না পেয়ে কটাক্ষ করেছেন, কড়া পদক্ষেপ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তবে এবার থেকে সেটা হবে না, কারণ তাঁকে টুইটারে ব্লক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!

আরও পড়ুন- বীরসা মুণ্ডর জন্ম দিবসে পালিত হবে জনজাতি গৌরব দিবস: রাষ্ট্রপতি

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানান, তিনি রাজ্যপালকে ব্লক করতে বাধ্য হয়েছেন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, রাজ্যপালের কাছে বহু ফাইল, অনেক বিল আটকে রয়েছে। তিনি তাঁর সঙ্গে নিজে দেখা করতে গিয়ে এই ব্যাপারে কথা বললেও তাতে কোনও লাভ হয়নি। শুধুমাত্র রাজ্যপালের কারণেই একাধিক কাজ আটকে রয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন মমতা। তিনি এও জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে এই ইস্যুতে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে শেষ দেড় বছর ধরে রাজ্যপালকে ‘সহ্য’ করা হচ্ছে। এই কারণ দেখিয়েই রাজ্যপালকে তিনি টুইটারে ব্লক করে দিয়েছেন বলে জানান। সম্প্রতি আবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যপালকে অপসারণ করার জন্য উদ্যোগী হয়েছে।

উল্লেখ্য, আজই বাজেট ভাষণ শেষে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে এমনই আর্জি জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সংসদ ভবন ছেড়ে বেরনোর সময় রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেন তিনি। সৌজন্য বিনিময়ের জন্য রাষ্ট্রপতি যখন তৃণমূলের লোকসভা নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছন, তখন তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ করেন, সংসদীয় গণতন্ত্রকে বাঁচাতে রাজ্যপালকে সরান। আসলে রাজ্যপালদের নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি এবং তাঁদের বদলিও হয় রাষ্ট্রপতি ভবন থেকেই৷ এর আগে তৃণমূলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল রাজ্যসভায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একটা প্রস্তাব আনা হবে৷ কিন্তু তার আগেই বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপালের অপসারণের আর্জি জানালেন সুদীপ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *