কোতুলপুর: দলবদল করা নেতাদের আক্রমণ করতে পিছপা হচ্ছেন না তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিগত কয়েক মাসে তৃণমূল কংগ্রেসের যে ক’জন নেতা দলবদল করেছেন তাদের মধ্যে থেকে সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য অধিকারী পরিবারের সদস্য। শুভেন্দু অধিকারী, সৌমেন্দু অধিকারীর থেকে শুরু করে গতকাল শিশির অধিকারী, সকলেই এখন পদ্মফুল শিবিরে। সেই সব নেতাদের বিরুদ্ধে একনাগাড়ে আক্রমণ করছেন মমতা। এদিন কোতুলপুরের সভা থেকেও সেই আক্রমণ বজায় রাখলেন।
এদিন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তৃতা দিতে গিয়ে বললেন, যারা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে গদ্দারি করেছে তারা এখন বিজেপি ওস্তাদ। ভোট দেওয়ার আগে তাদের অত্যাচারের কথা মনে রাখতে হবে বলে পরামর্শ দেন মমতা। বিক্রমপুরের ঘটনার প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি মনে করান, সেদিনের অত্যাচার তিনি ভোলেননি। তাঁকে পুলিশ ঢুকতে দিচ্ছিলো না কিন্তু একপা একপা করে তিনি ঢুকেছিলেন। পরে বাস ভাঙচুর, গুলি চালানোর মতো ঘটনা অপেক্ষা করে মানুষকে উদ্ধার করতে এসেছিলেন বলে মনে করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, এটা যে বাংলার নির্বাচন সেটা ভুলে গেলে হবে না। লোকসভা নির্বাচনে যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল তারা জানে বিজেপি কী করেছে আর করেনি। বিজেপি নির্বাচনের আগে অনেক কথা বলে আর নির্বাচন হলে পালিয়ে যায় বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। মমতা আরো একবার জানিয়েছেন, বাংলায় বহিরাগত গুন্ডাদের পাঠিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। কিন্তু তাদের যেন একটাও ভোট না দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- মহিলাদের জন্য বিরাট আশ্বাস! গেরুয়া ইস্তেহারকে কীভাবে দেখবে প্রগতিশীল নারীসমাজ?
এর পাশাপাশি মমতা পূর্ববর্তী ঘোষণা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, সবার বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেবে সরকার। বাড়ির মেয়েরা ৫০০ টাকা করে হাত খরচা পাবেন। পাশাপাশি তিনি মনে করান, বিজেপি বলেছে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট, কোল উন্ডিয়া, বিএসএনএল, সেল বন্ধ করে দেবে। সব বিক্রি হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্দাস ও বড়জোড়াতেও জনসভা করবেন।