‘বেঙ্গল থেকে বেঙ্গালুরু, বিজেপির শেষের শুরু’, কর্ণাটকে পদ্মের হারে প্রতিক্রিয়া মমতার

কলকাতা: কর্ণাটকে বিজেপি’র ভরাডুবি৷ উচ্ছ্বসিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী৷ দক্ষিণী রাজ্যে যাঁরা বিজেপি’কে হারিয়ে, তাঁদের কুর্নিশ জানালেন মমতা৷ তবে কন্নড়রা যাঁকে জেতালেন, সেই কংগ্রেসের নাম উল্লেখ করলেন না তিনি৷ শুধু বললেন, ‘ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন সাধারণ মানুষ৷’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা এদিন কালীঘাটে দেখা করতে গিয়েছিলেন বলিউড সুপারস্টার সলমন খান৷ তিনি দেখা করেন বেরিয়ে যেতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানেই কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে মত প্রকাশ করেন৷ তাঁর আগে অবশ্য টুইটা করে তিনি লেখেন, ‘‘পরিবর্তনের পক্ষে যে জনাদেশ দিয়েছেন কর্নাটকবাসী, সে জন্য তাঁদের কুর্নিশ জানাই।’’ তিনি আরও লেখেন, ‘‘নৃশংস স্বৈরাচার এবং সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজনীতি পরাজিত! যখন মানুষ বহুত্ববাদ এবং গণতান্ত্রিক শক্তির জয় চায়, তখন কোনও কেন্দ্রীয় শক্তিই তাদের স্বতঃস্ফূর্ততাকে দমিয়ে রাখতে পারে না। এটাই গল্পের সারমর্ম।’’
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যে ফেসবুক, ট্যুইটারে আমার মত প্রকাশ করেছি৷ এই যে ঔদ্ধত্য, এ তার পরাজয়৷ অহঙ্কার, দুর্বিসহ ব্যবহার ও এজেন্সির পলিটিক্সের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ তাঁদের রায় দিয়েছেন৷ এটা আসলে ‘নো ভোট টু বিজেপি’৷ এটাই বিজেপির শেষের শুরু৷ এর পর মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় আছে, সেখানেও বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত৷ ফলে ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপির জয়ের কোনও আশা নেই৷ ২০২৪-এর শেষের শুরু এটাই৷’
বিরোধী শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের কথা উল্লেখ করে উত্তরপ্রদেশ নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ যোগীর রাজ্য৷ সেখানে অখিলেশ ভাল কাজ করছে৷ উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাত ওদের আছে৷ কিন্ত কর্ণাটক, তেলঙ্গানা, চেন্নাই, বিহার, বেঙ্গল, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, দিল্লি, মুম্বই, পঞ্জাব-সহ অনেক রাজ্য আছে, যেখানে বিজেপি ক্ষমতায় নেই৷ আগে একটা চূড়ান্ত সময় ছিল৷ এখন আর ওঁরা আসন পাবে না৷ আগামী লোকসভা নির্বাচনে ১০০-এর বেশি ক্রস করতে পারবে না৷’’
পাশাপাশি এজেন্সি প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘বিজেপি মণিপুর কন্ট্রোল করতে পারছে না৷ যদি আমি এই ভাবে বললে, আমার বাড়িতেও এজেন্সি পাঠিয়ে দেবে৷ আমি লড়াই করব৷ আমি মনে করি, মানুষ এটা মেনে নেবে না৷ বেঙ্গল যে পথ দেখিয়েছে, মানুষ যে রায় দিয়েছে, তাতে ইমেজ বলে কিছুই হয় না৷ গানের সুর না থাকলে সেজেগুজে গান গাইলে তো হয় না৷’’
তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি এ ভাবে সকলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। স্বার্থ চরিতার্থ করার রাজনীতি চলছে। বাংলা যে পথ দেখিয়েছে, বাংলা থেকে বেঙ্গালুরু আজ সেই পথেই।’’