কলকাতা: গত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের ফল কী হয়েছিল তা সকলের জানা। আর এটাও কেউ ভোলেনি যে ওই ফল নিয়ে বিতর্ক এখনও বহাল। এই ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টে এখনও মামলা চলছে। আর আজ বিধানসভায় পঞ্চায়েত ভোটের ইস্যু উঠতেই আচমকা নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ তোলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে বিঁধে তিনি জানতে চান, নন্দীগ্রামে কী হয়েছিল তা কারোর মনে আছে কিনা। আসলে পঞ্চায়েত ইস্যু নিয়ে সরকারকে তীব্র আক্রমণ করছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার প্রেক্ষিতেই এই প্রসঙ্গ টানেন মমতা। ফলত, ওয়াকআউট করে বিজেপি বিধায়করা।
পঞ্চায়েত নিয়ে আলোচনার সময়ে নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ তুলে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, যারা পঞ্চায়েত কুলষিত করেছেন, তারা যখন এক সময় এই দলে ছিলেন সব ভুলে গেছেন। রাজ্য নির্বাচন, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার কথা তাঁদের মুখে মানায় না। নন্দীগ্রামে ২ ঘণ্টা লোডশেডিং করে ফলাফল বদলানো হয়েছে। হারিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। নন্দীগ্রাম ভুলে গেছেন? প্রশ্ন তোলেন তিনি। এরপরেই কার্যত ক্ষোভ বাড়তে থাকে বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে। কাগজ ছিড়ে বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ দেখায়। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের মাঝে কালো পতাকা দেখানো হয়।
এরপর বাইরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তৃণমূল অবাধে ভোট লুট করে জিতেছে। তারা গণতন্ত্র মানে না, তাই এমন ধরনের কথা বলছে। তাঁর দাবি, ২০১৮ সালের ভোটে এমন চাপ দিয়েছিল বলে ২০১৯ সালে এত জায়গায় হার হয়েছে তৃণমূলের।