রাজীব গান্ধী একসময় বলেছিলেন, যুব সমাজের আইকন আমি: মমতা

জানালেন, রাজীব গান্ধী তাঁর সম্পর্কে বিশ্বভারতীতে এসে কি বলেছিলেন।

জামবুনি: বোলপুরের রোড শো করার পর জামবুনিতে জনসভা করে এদিন স্মৃতিরোমন্থন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে আষাঢ়ে স্মৃতির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রসঙ্গ টেনে আনলেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর। একই সঙ্গে জানালেন, রাজীব গান্ধী তাঁর সম্পর্কে বিশ্বভারতীতে এসে কি বলেছিলেন। রাজনৈতিক চর্চার মাঝেই সামান্য স্মৃতিচারণের সময় নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন মমতা বলেন, বিশ্বভারতীতে প্রথমবার এসেছিলাম যখন তখন সেখানে এসেছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীও। তিনি সেইসময় যুবসমাজের মধ্যে খুব জনপ্রিয় ছিলেন। একসঙ্গে যখন তাঁরা ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে খেতে বসেছিলেন তখন, ছাত্র-ছাত্রীরা রাজীব গান্ধীকে জিজ্ঞাসা করেন যে যুব সমাজের আইকন কার মত হওয়া উচিত। মমতা‌ জানান, এই প্রশ্নের উত্তরে রাজীব গান্ধী তাঁর দিকে আঙুল তুলে বলেছিলেন, ‘ওঁর মত’। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজীব গান্ধী এমন মনে করতেন তার কারণ তিনি জানতেন তারাই বাংলার মাটিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। বাংলার মানুষকে ভালোবাসে, সম্মান করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট কথা, বিজেপি যে সোনার বাংলা গঠনের কথা বলছে সেই নতুন সোনার বাংলা কারোর দরকার নেই। রবীন্দ্রনাথ যেদিন লিখেছিলেন ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’, সেদিনই বাংলা সোনার হয়ে গিয়েছে। নতুন করে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখানোর কোন দরকার নেই বিজেপির, মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর। মমতা আরো বলেন, এখন বিজেপি বিশ্বভারতীতে ভিন্ন রাজনীতির আমদানি করছে, বিদ্বেষমূলক রাজনীতি করা হচ্ছে।  

উল্লেখ্য, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সোনার বাংলার স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিজেপির নতুন সোনার বাংলা চাই না কারোর! একইসঙ্গে বিশ্বভারতী এবং অমর্ত্য সেন প্রসঙ্গে মমতা বলেন, দিনের-পর-দিন নোবেলজয়ী বাঙালিকে অপমান করা হচ্ছে, আক্রমণ করা হচ্ছে। বিশ্বভারতীতে অবৈধ প্রাচীর নির্মাণ করে একটা ধর্মান্ধ নোংরা রাজনৈতিক দল শুধুমাত্র রাজনীতি করে যাচ্ছে। বাংলার মানুষ এসব মেনে নেবে না, বাংলায় এসব বরদাস্ত হবে না। পাশাপাশি এদিন আবারো বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতাদের বহিরাগত বলে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *