পিএম কেয়ার্সের টাকার হিসেব থেকে সম্পত্তি বিক্রি, মোদীর থেকে জবাব চাইলেন মমতা

পিএম কেয়ার্সের টাকার হিসেব থেকে সম্পত্তি বিক্রি, মোদীর থেকে জবাব চাইলেন মমতা

বড়জোড়া: কোতুলপুর এবং ইন্দাসের পরে এ দিন শেষ জনসভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বড়জোড়ার জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে তাঁর বক্তব্য, পিএম কেয়ার্সের টাকা কোথায় গেল তার জবাব দিতে হবে, রেল থেকে শুরু করে বিএসএনএল কেন বিক্রি করা হচ্ছে তার জবাব দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে এই জনসভায় আগত সকলের উদ্দেশ্যে মমতার আর্জি, ১ এপ্রিল সকলে মিলে যেন বিজেপিকে এপ্রিল ফুল করে দেয়। 

এদিনের জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মমতা বলেন, দেশকে বিক্রি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আর এবার এসেছে বাংলা গড়বে বলে। মমতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের নামে স্টেডিয়াম বানিয়েছেন, কোন দিন দেশের নাম পরিবর্তন করে দেবেন তিনি। একইসঙ্গে মমতার বক্তব্য, নির্বাচনের আগে একাধিক ভুয়ো প্রতিশ্রুতি নিয়ে বাংলার জনগণের থেকে ভোট চাইছে তারা, কিন্তু ভোটের পর সবাই পালিয়ে যাবে বলে মন্তব্য তাঁর। এই প্রসঙ্গে মমতা স্লোগান তোলেন, “বোনেরা দিচ্ছে উলুধ্বনি, ভাইরা দিচ্ছে তালি, আসুন আমরা বাংলা থেকে বিজেপিকে করি খালি!” মমতার কথায়, সকলে যেন বিজেপিকে টাটা, বাইবাই করে দেয়। মমতা আরো বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সকলের আবেদন তারা যেন বিনা পয়সায় গ্যাস দেয়। এদিকে পেট্রোপণ্যের দাম কমানো হয়। নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর যে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা আজ পর্যন্ত কেউ পাননি বলেও এদিন ফের কটাক্ষ করেন তিনি।

আরও পড়ুন-  কলকাতার ভোটার হলেন মহাগুরু, তবে কি নীল বাড়ি দখলে বিজেপি’র মুখ মিঠুন?

এর পাশাপাশি তিনি সকলকে মনে করিয়ে দেন, আগামী দিনের নির্বাচন দিল্লির নির্বাচন নয়, বাংলার নির্বাচন। বাংলার ভবিষ্যতের নির্বাচন। তাই বিজেপিকে কখনই ভোট দেওয়া যাবে না। বিজেপি আসলে বাংলার সর্বনাশ করে দেবে বলেও সতর্ক করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন জনসভা থেকে মমতা আরো বলেন, ১৮ বছর বয়স থেকে সব বিধবা পেনশন পাবেন। আগামী দিনে হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ করা হবে এবং আরও শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এছাড়া দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌঁছে যাবে, পাশাপাশি কৃষকরা মে মাস থেকে ১০,০০০ টাকা পাবেন বলেও এদিন আরও একবার মনে করিয়ে দেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *