খালি বুয়া-ভাতিজা? আপনার ছেলে কী করে? কী করে এল এত টাকা: মমতা

খালি বুয়া-ভাতিজা? আপনার ছেলে কী করে? কী করে এল এত টাকা: মমতা

কলকাতা: আজ বঙ্গ সফরে কোচবিহারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ‘ভাইপো’কে চরম আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দাবি করেছেন, বিজেপির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন তাই জন্য এখনো ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেননি। কিন্তু তিনি সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করছেন যেদিন তিনি এই ঘোষণা করতে পারবেন। এদিন সামাজিক প্রতিনিধিদের সম্মেলনে বক্তব্য পেশ করে স্বজনপোষণ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঘুরিয়ে আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি প্রশ্ন করলেন, “আপনার ছেলে কী করে, এত টাকা কোথা থেকে এল?”

বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বক্তব্য, বিজেপি খালি বুয়া-ভাতিজা করে।‌ কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলের এত টাকা কোথা থেকে এল, সে কি করে, সেটা নিয়ে কারোর কোন কথা নেই। মমতা আরো জানিয়ে দেন, বাংলার মানুষ কখনো আত্মসমর্পণ করবে না। তিনি নিজের গলা কেটে দেবেন তাও বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করবেন না। একই সঙ্গে সামাজিক প্রতিনিধিদের এই সম্মেলন মঞ্চ থেকে সকলকে আহ্বান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে। বিজেপি নয় ভোট দিতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এর পাশাপাশি ব্রিগেডে রাজনৈতিক খেলায় অংশগ্রহণ করার জন্য বিজেপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, একদিকে থাকবে বাকিরা, অন্যদিকে থাকবে একা তৃণমূল কংগ্রেস। 

মমতার খোলা চ্যালেঞ্জ, আসুন না, হয়ে যাক একটা খেলা। গণতন্ত্রের খেলা। পরীক্ষার খেলা, রাজনীতির খেলা। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে করবেন? একদিকে আপনারা থাকবেন… কংগ্রেস এবং সিপিএমকেও সাথে দিয়ে দিলাম। জগাই-গদাই-মাধাই একসঙ্গে থাকবে। আর তৃণমূল কংগ্রেস একা থাকবে। আর আমি কিন্তু গোলরক্ষক। আমি কিন্তু অন্য কোন কাজ করবো না। আমি শুধু দেখবো কটা গোল আপনারা দিতে পারেন। খেলায় কে জেতে আর খেলায় কে হারে।” মমতা আরও বলেন, বাংলায় যারা আসবেন এখানে সবাইকে স্বাগত জানানো হয়। কিন্তু আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসে যে মনোভাব পোষণ করলেন এবং যে ধরনের কথা ব্যবহার করলেন তাতে মনে হল তিনি ধমকি দিতে এসেছেন। মমতার কথায়, তাঁকে ভ্রষ্টাচারী আর দুর্নীতিপরায়ণ বলা হচ্ছে, এদিকে বিজেপি নিজেরা কৃষকদের সম্মান কেড়ে নিয়েছে এবং তাদের ভয় দেখাচ্ছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 + fifteen =