ডানলপের মালিক পবন রুইয়ার বাড়িতে থাকেন বিজেপি নেতারা! বিস্ফোরক মমতা

ডানলপের মালিক পবন রুইয়ার বাড়িতে থাকেন বিজেপি নেতারা! বিস্ফোরক মমতা

সাহাগঞ্জ: রাজ্যের শাসক দল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করার জন্য বারবার বিজেপি তোলাবাজ শব্দ ব্যবহার করে। অভিযোগ করা হয়, বাংলার রাজ্য সরকার তোলাবাজ। গরিব মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিজেদের প্রতিপত্তি করছে। এদিন ডানলপের সভা ডেকে বিজেপিকে আক্রমণ করে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, ডানলপের মালিক, পবন রুহিয়া, তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে আর তার বাড়িতেই বিজেপি নেতারা থাকেন তাও আবার শরৎ বোস রোডে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যারা পাঁচ টাকা দশ টাকা তোলে তাদের তোলাবাজ বলা হয়। এদিকে বিজেপি দেশ বেচে দিচ্ছে, তাহলে তাদের কি বলা হবে সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিস্ফোরক তথ্য দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০১৬ সালে ডানলপকে অধিগ্রহণ করতে চেয়েছিল সরকার কিন্তু করতে দেওয়া হয়নি। এদিকে প্রধানমন্ত্রী এখানে এসে সভা করে বড় বড় কথা বলছেন। ডানলপের মালিক পবন রুইয়ার বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। এদিকে বিজেপি নেতারা তার বাড়িতেই থাকেন, শরৎ বোস রোডে। হাজার হাজার মানুষের পেটের ভাত কেড়ে নিয়েছে তারা কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মুখে এসব কথা শোনা যায় না। মমতা আরো বলেন, কথায় কথায় বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসকে তোলাবাজ বলে। কিন্তু বিজেপি হচ্ছে সবথেকে বড় দাঙ্গাবাজ এবং ধান্দাবাজ। কাটমানি নিয়ে প্রশ্ন তোলে, এদিকে কোটিপতিরা যে এত টাকা খায় তা নিয়ে কথা বলে না। কোটিপতিরা টাকা খেলে তাকে র্যাটমানি বলে বলে মন্তব্য করেন মমতা। একই সঙ্গে পরোক্ষভাবে কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, দেশে এখন শুধু দুটো নেতা, একজন হোদল কুতকুত, আরেকজন কিম্ভূতকিমাকার।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নিয়ে মন্তব্য করেছেন, নোটবন্দির টাকা কোথায় গেল তার জবাব এখনো পায়নি দেশবাসী। এর জবাব এখনো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেননি। এদিকে বিএসএনএল বিক্রি হচ্ছে কেন তার জবাব দেওয়া হচ্ছে না, একই অবস্থা কোল ইন্ডিয়ার। অন্যদিকে, রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রেল মন্ত্রী থাকাকালীন তিনি সব করে দিয়েছেন আর এদিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে একের পর এক মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *