কলকাতা: মঙ্গলবারের বিধানসভা অধিবেশনে প্রথম থেকেই হই হট্টগোল শুরু হয়। বিজেপি এবং তৃণমূলের অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে বিধানসভার উত্তাপ বাড়ে। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের বিরোধিতা করে ওয়াক আউট করে বিজেপি, পরে আবার পরোক্ষে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আবার বিধানসভার বিরোধীদের ‘ল্যাজকাটা হনু’ বলে আক্রমণ করেছেন তিনি।
এদিন বিধানসভার বিরোধীদের নাম না করে মমতা বলেন, সবাই ল্যাজ কাটা হনুদের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে, কারোর কোনও সৌজন্য নেই। তাঁর বক্তব্য, এর আগে তিনি অটল বিহারী বাজপায়ের সঙ্গে কাজ করেছেন, সুষমা স্বরাজ থেকে শুরু করে রাজনাথ সিংদের দেখেছেন, কিন্তু এখন বিজেপি হল ল্যাজ কাটা হনু। এখন বিজেপি খায় না মাথায় দেয় কেউ জানে না। এদিকে রাজ্যপাল প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যারা তাঁকে ভাষণটা পড়তে দিল না তারা আজ এখানে এসে প্রমাণ করতে চাইছে কে কত বড়, কটাক্ষ মমতার। এদিন আবার বিরোধীদের আক্রমণ করে তিনি মন্তব্য করেছেন, ভোট পরবর্তী হিংসার নিয়ে কুৎসা রটানো হচ্ছে। নির্বাচনী মধ্যেই তাদের অনেক কর্মী মারা গিয়েছেন। বিজেপি IT সেলের লোকেরা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে কুৎসা করে বেড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন-জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জেরেই বাজারে আগুন, কলকাতার বাজার ঘুরে মনে করছে EB
পাশাপাশি তিনি জ্বালানির দাম বৃদ্ধি ইস্যু নিয়ে বলেন, পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, গ্যাসের দাম হু হু করে বাড়ছে, কিন্তু সরকার কিছু করছে না। এদিকে, উত্তর প্রদেশ সরকার কী করেছে, গঙ্গা নদীতে দেহ ভাসিয়ে দিচ্ছে, এই নিয়ে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, প্রশ্ন তোলেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, গঙ্গার জল দূষিত করে দেওয়া হচ্ছে। মমতা ‘বঙ্গভঙ্গ’ ইস্যু নিয়ে বলেন, উত্তরবঙ্গে উন্নয়ন কী হয়নি! কিছু বাকি নেই। যারা উত্তরবঙ্গ ভাগ করে দাও, পাহাড় ভাগ করে দাও বলছে, তাদের বলছি বাংলা ভাগ করতে দেব না। আমরা ভাগাভাগির রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। তাঁর কথায়, নরেন্দ্র মোদীর সরকার, মিথ্যবাদির সরকার।