কলকাতা: রাজ্যের চতুর্থ দফার নির্বাচনে শীতলকুচিতে যে ঘটনা ঘটেছিল তার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পার্থ প্রতিম রায়ের ফোনালাপ প্রকাশ্যে এনেছিল বিজেপি। তাদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লাশের রাজনীতি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। তিনি চাইছেন বাংলায় অশান্তি লাগাতে। যদিও এইভাবে একজন মুখ্যমন্ত্রীর ফোন কিভাবে ট্যাপ করা হল সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। অবশেষে এই ঘটনায় দায়ের হয়েছে মামলা। কালীঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন এক মহিলা তৃণমূল কর্মী।
জানা গিয়েছে যে মহিলা তৃণমূল কর্মীর কালীঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি রাজডাঙ্গার বাসিন্দা। তার অভিযোগ, এইভাবে একজন মুখ্যমন্ত্রীর ফোন ট্যাপ করা যায়না এবং বিজেপি যে অডিও টেপ প্রকাশ করেছিল সেটি অসম্পূর্ণ। এইভাবে ফোনালাপের অংশবিশেষ শুনিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুমতি ছাড়াই এই কাজ করা হয়েছে তাই এটি গুরুতর অন্যায়। সেই প্রেক্ষিতেই কালীঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন তিনি। ওই মহিলা তৃণমূল কর্মীর বয়ানে নাম রয়েছে বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য সহ চুঁচুড়ার বিজেপি প্রার্থী তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। এই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এবং সাংসদ তথা চুঁচুড়ার প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় এই অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন। অডিও ক্লিপে যে কথাগুলো শুনতে পাওয়া যাচ্ছে তা শুনে বোঝা যাচ্ছে যে শীতলকুচিতে যারা মারা গিয়েছেন তাদের নিয়ে কথা বলছেন দুজনে। একইসঙ্গে মহিলাকণ্ঠ জানাচ্ছেন যে ভালো করে মামলা দায়ের করতে হবে এবং আইনজীবী মারফত মামলা দায়ের করাতে হবে নিজেদের মতো করলে হবে না। অন্যদিকে মৃতদেহ নিয়ে মিছিল করার কথা বলতেও শোনা যাচ্ছে ওই মহিলা কন্ঠকে। অন্যদিকে পুরুষ কন্ঠ মহিলা কন্ঠে শান্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়ে জানাচ্ছেন যে প্রত্যেকটা বুথে এজেন্ট দেওয়া গিয়েছে এবং তিনি যা নির্দেশ দিচ্ছেন সেই হিসাবে কাজ হবে। মহিলা কণ্ঠ আরো বলছে, সাধারণ মানুষ যাদের ভোট দিতে না পারে সেই কারণে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলেই বাংলা এনপিআর আর ডিটেনশন ক্যাম্প বানাবে, সেই জন্যই যাবতীয় ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা।