বীর চিলা রায়ের মূর্তি, রাজ্য পুলিশে নারায়ণী সেনা, রাজবংশীদের মন ছুঁয়ে গুচ্ছ ঘোষণা মমতার

বীর চিলা রায়ের মূর্তি, রাজ্য পুলিশে নারায়ণী সেনা, রাজবংশীদের মন ছুঁয়ে গুচ্ছ ঘোষণা মমতার

কোচবিহার: উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে গুচ্ছ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দিলেন একাধিক প্রতিশ্রুতি৷  কোচ- রাজবংশীদের গর্ব বীর চিলা রায়ের ৫১২ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বুধবার কোচবিহার ২ ব্লকের সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ আয়োজক ছিল দা গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন৷ ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েই একের পর এক ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ 

আরও পড়ুন- ২৭ তারিখের ভোটের গণনা কবে? উত্তর মিলল

তিনি বলেন, কোচবিহারে নতুন কোনও সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করা হলে তা বীর চিলা রায়কে উৎসর্গ করা হবে। শুধু তাই নয়, বীর চিলা রায়ের সম্মানে রাজ্য সরকারের তরফে ১৫ ফুট উচ্চতার একটি মূর্তি তৈরি করা হবে। যার খরচ আনুমানিক ১৮ লক্ষ টাকা৷ কোচবিহার বাবুর হাট চেক পোস্ট এলাকায় ওই মূর্তি স্থাপন করা হবে। যা হয়ে উঠবে কোচবিহারের অন্যতম ল্যান্ডমার্ক৷ এছাড়াও রাজ্য পুলিশে নারায়ণী সেনাদের  নিয়োগ করা হবে। নিয়োগ হবে হোমগার্ড, সিভিক ভলেন্টিয়র পদে৷ এতে প্রায় ৭০০-৮০০ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে৷ উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশে নারায়ণী সেনা ব্যাটেলিয়ন তৈরি হয়েছে।”

 

এদিন অনন্ত মহারাজের আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷  কোচবিহারের মানুষের আবেগকে সম্মান জানিয়ে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ‘জয় শিবচণ্ডি, জয় বাংলা’ স্লোগান দেন তিনি। বীর চিলা রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মমতা বলেন, ‘‘বীর চিলা রায় গেরিলা কায়দায় লড়াই করতেন৷ ছত্রপতি শিবাজির মতো চিলা রায় আমাদের গর্বের। আমরা চাই বীর চিলা রায়ের বীরত্বের কাহিনী সমগ্র ভারত জানুক।’’ 

তিনি আরও জানান অনন্ত মহারাজের অনুরোধ মাত্র দশ দিনে ৩৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মহাবীর চিলা রায় রোড তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকে এই মহান যোদ্ধার নামে একটি কমিউনিটি হল তৈরি করা হবে। যার নাম হবে বীর চিলা রায় কমিউনিটি হল। এর জন্য খরচ হবে ৩৫ লক্ষ টাকা। এর পর সভামঞ্চে উপস্থিত অনন্ত মহারাজের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা চাইলে রাজ্য পুলিশে নারায়ণী সেনাকে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।’’ 

এখানেই শেষ নয়,  কামতাপুরী এবং রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্যেও একাধিক ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কোচবিহারকে হেরিটেজ টাউন হিসাবে গড়ে তোলা হবে। এর জন্য রাজ্য সরকারের ব্যয় হবে ৩০০ কোটি টাকা৷’’ রাজবংশী মানুষদের জন্য ইতিমধ্যেই ২৭ একর জমিতে ঠাকুর পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়েছে৷ এবার ১৭ একর জমিতে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরি করা হবে। মূল ক্যাম্পাসের নাম পঞ্চানন নগর। ৫ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছে রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি৷ ৫ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছে কামাতাপুরী ভাষা অ্যাকাডেমি৷ আগামী দিন ২০০টি রাজবংশী স্কুল তৈরি করা হবে বলেও ঘোষণা তাঁর৷