কলকাতা: উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের ঘটনা ইতিমধ্যেই তোলপাড় গোটা দেশ। সেখানে যাওয়ার আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সহ আরো অনেককে। এদিকে বাংলা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল সেখানে প্রথমে যেতে না পারলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে পৌঁছে গিয়েছিল। কী ভাবে তারা সেখানে পৌঁছল সেই কথা আজ দেবীপক্ষের সূচনায় জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি এও দাবি করলেন, তৃণমূল কংগ্রেস একমাত্র দল যারা ওই ঘটনায় নিপীড়িত কৃষকদের বাড়ি পৌঁছতে পেরেছে, আর কেউ পারেনি।
আজ তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র শারদ সংখ্যার উদ্বোধন করেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানে তিনি উত্তরপ্রদেশের ঘটনা নিয়ে আবারও বিজেপিকে আক্রমণ করলেন নিজের স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতে। তিনি বলেন, সেখানে যারা মারা গেছে তাদের অন্যায় ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাদের প্রতি তাঁর সমাবেদনা রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস একমাত্র দল যাদের প্রতিনিধি দল ওই নিপীড়িত কৃষকদের বাড়িতে পৌঁছাতে পেরেছিল কিন্তু অন্য কেউ পারেনি। কারণ তাদের ১২ ঘন্টা লেগেছিল এপথ ওপথ করে লুকিয়ে লুকিয়ে যেতে, জানান মমতা। এর আগেও এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরপ্রদেশ রামরাজ্য না কিলিং রাজ্য, সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
মমতা বলেছিলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে কিছু হলেই ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া হয় এবং এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। দলের প্রতিনিধিরা সেখানে গেলে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। এর আগে অসমে যখন এনআরসি হয়েছিল তখনো ঢুকতে দেওয়া হয়নি। হাথরস ঘটনার সময় উত্তরপ্রদেশে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আবার ত্রিপুরাতেও যখন হিংসা হচ্ছিল তখনো সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া হয়েছিল। মমতার কথায়, বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলির স্বৈরতন্ত্র চলছে, গণতন্ত্র চলছে না তাই সাধারণ মানুষের উচিত বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া।