তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা! শিশুদের নিয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী, জানালেন প্রস্তুতির কথা

তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা! শিশুদের নিয়ে চিন্তিত মুখ্যমন্ত্রী, জানালেন প্রস্তুতির কথা

কলকাতা: দ্বিতীয় ঢেউয়ের রক্তচক্ষু কাটিয়ে উঠছে দেশ তথা রাজ্য, তবে ইতিমধ্যেই তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হয়েছে। এই নিয়ে চিন্তিত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাজ্য সরকার যে আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে তা এদিন নবান্ন থেকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, শিশুদের আলাদা করে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা, কারণ তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাই শিশুদের নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন তিনি।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজ্যের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে বলেন, এখন বাংলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে যা নির্বাচনের সময়ে প্রচুর বেড়ে গেছিল। যদিও তৃতীয় ঢেউয়ের আগে সব রকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য সরকার বলে জানান তিনি। ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ইতিমধ্যে রাজ্যের দুই কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়েছে সরকার, আজ থেকে আরও ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। শিশুদের জন্য আলাদা চিন্তাভাবনা করতে হবে বলে সকলকে সতর্ক করেন তিনি। একই সঙ্গে এও জানান যে, হাসপাতালগুলিতে শিশুদের জন্য বেডের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে যাতে তৃতীয় ঢেউয়ের সময়ে বড় রকম সমস্যা না হয়। এর পাশাপাশি সকলকে সতর্ক এবং সচেতন থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। 

আরও পড়ুন: অক্টোবরেই আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ! চলবে এক বছর

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৭৯ জন। এই একই সময়ে করোনাকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন ২ হাজার ১১৩ জন। গত একদিনে রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ৪২। মৃতদের মধ্যে ১০ জন উত্তর ২৪ পরগনার, ৯ জন কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলির। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ৩৯০। তথ্য বলছে, রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে এখনও সবথেকে উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। কারণ সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন সর্বাধিক ২৯৫ জন, এর পরে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, সেখানে আক্রান্ত ১৭৮ জন। কলকাতা শহরের আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭১-এ। এর পাশাপাশি হাওড়াতে আক্রান্ত ১৩০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৭. ৩০ শতাংশ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *