কলকাতা: একাধিক রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন যে এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীদের শুধুমাত্র পুতুলের মতো বসিয়ে রাখা হয়েছিল, কোন কথা বলতে দেওয়া হয়নি। মমতা বলছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব খুবই ঢিলেঢালা। কার্যত মুখ লুকিয়ে পালিয়ে গেলেন তিনি, কাউকে কোন কথা বলতে দেওয়া হল না।
এদিন মমতা বলেন, আজকের করোনাভাইরাস নিয়ে বৈঠক অত্যন্ত ক্যাজুয়াল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কাউকে কথা বলতে না দিয়ে শুধু নিজের মত ভাষণ দিয়ে গেছেন। কিছু বিজেপি শাসিত রাজ্যের জেলা শাসকদের কথা বলতে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কথা বলতে দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নিজে কী ভাষণ দিয়েছেন সেটাও পরিষ্কার নয়। মমতা আরো বলছেন, রাজ্যের ভ্যাকসিন এবং অক্সিজেন পরিস্থিতি কেমন তা জানতে চাননি প্রধানমন্ত্রী, করোনাভাইরাস চিকিৎসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ রেমডিসিভির আছে কী নেই, সেই ব্যাপারেও কিছু বলেননি তিনি। এদিকে তিনি দাবি করছেন করোনাভাইরাস নাকি কমে গিয়েছে। যদি কমে গিয়ে থাকে তাহলে এত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে কেন সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে না বলেও এদিন ফের অভিযোগ করেন তিনি। দাবি করেন, এই মাসে ২৪ লক্ষ ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু ১৩ লক্ষ পাওয়া গেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও দাবি করছেন, বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি ফলাও করে বলেছিল যে বাংলায় বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে। কিন্তু এখন মুখ লুকিয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সারা দেশকে বিষাক্ত করে দিয়েছেন, গঙ্গায় একের পর এক লাশ ভেসে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে কার্যত ধ্বংস করা হচ্ছে বলেও কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।