কলকাতা: নতুন সরকার গঠনের এক মাসও হয়নি তার মধ্যেই নারদা মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। গত সোমবার এই ঘটনার পর সারা রাজ্য জুড়ে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে। এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে এদিন মুখ খুলে বিজেপির প্রতিশোধের রাজনীতির প্রসঙ্গ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন এই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও প্রতিশোধ নিচ্ছে তারা।
মমতার বক্তব্য, সারা বছর মানুষের জন্য রাস্তায় নেমে কাজ করে ববি হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়রা। এমনকি যখন বাংলায় প্রথম করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন এসেছিল তখন মানুষের জন্য সেই ভ্যাকসিন প্রথম ট্রায়াল দিয়েছিল ফিরহাদ হাকিম। সেই ছেলেটাকে এখন গ্রেফতার করে জেলে রাখা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যখন সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করা বেশিই জরুরী ঠিক তখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। যদিও মমতার বিশ্বাস, আইনি পদ্ধতিতে এর জবাব পাবে তারা। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, সারাদিন ধরে যারা রাস্তায় নেমে কাজ করে তাদের জেলে বন্দি করে রাখার জন্য এখন সেই কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। যদিও অন্য ভাবে করছে সরকার।
এদিকে আজই নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে যে বৈঠক হয়েছে তার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী একাধিক রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক ডাকার পর সেই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কোন কথা শোনেননি। একজন মুখ্যমন্ত্রীকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি সেই কারণে তাঁরা সকলে অপমানিত বোধ করেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পুতুলের মত শুধু বসে ছিল। কাউকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। যদি কেউ কথা বলতে না পারে তাহলে জনমানুষের চাহিদা সম্পর্কে জানাবে কী করে, প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি আরো অভিযোগ করেন, রাজ্যের ভ্যাকসিন বা ওষুধের ব্যাপারে কিছুই জানতে চাওয়া হয়নি। এমনকি সমস্যা কোথায় হচ্ছে সেই ব্যাপারে কোন কিছুই তথ্য নেওয়া হয়নি।