‘রাম রাজ্য না কিলিং রাজ্য?’ লখিমপুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ মমতার

‘রাম রাজ্য না কিলিং রাজ্য?’ লখিমপুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ মমতার

32c441832baf974f360a28372f1c66b3

কলকাতা: উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে আন্দোলনরত কৃষকদের উপর যে ঘটনা ঘটেছে তার তীব্র নিন্দা করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরপ্রদেশের যোগী প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, সেখানে কৃষকদের ওপর নৃশংস অত্যাচার করা হয়েছে এবং হত্যা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি মমতা আরো জানান, প্রথম থেকেই কৃষকদের পাশে রয়েছে তাঁর সরকার এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

উত্তরপ্রদেশের ঘটনার প্রেক্ষিতে কথা বলতে গিয়ে এদিন মমতা বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যে কিছু হলেই ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া হয় এবং এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। দলের প্রতিনিধিরা সেখানে গেলে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। এর আগে অসমে যখন এনআরসি হয়েছিল তখনো ঢুকতে দেওয়া হয়নি। হাথরস ঘটনার সময় উত্তরপ্রদেশে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আবার ত্রিপুরাতেও যখন হিংসা হচ্ছিল তখনো সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া হয়েছিল। মমতার কথায়, বিজেপি শাসিত রাজ্য গুলির স্বৈরতন্ত্র চলছে, গণতন্ত্র চলছে না তাই সাধারণ মানুষের উচিত বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া। এদিকে, লখিমপুরের ঘটনায় বিজেপি প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মমতা বলেন, উত্তরপ্রদেশকে ওরা রাম রাজ্য বলে, এটা কি তবে রাম রাজ্য না কিলিং রাজ্য? আসলে মমতাকে প্রশ্ন করা হয় যে এই ঘটনার জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ইস্তফা দেওয়া উচিত কিনা। সেই প্রশ্নের উত্তরেই এমন মন্তব্য করেন মমতা। 

যদিও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী মনে করেন যে উত্তরপ্রদেশের ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন দরকার নেই। বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশে যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। ইতিমধ্যেই মৃত এবং আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি অত্যন্ত মানবিকতার সঙ্গে এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। উত্তরপ্রদেশ সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে এই ঘটনাকে দেখছে। কিন্তু বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নিজের নির্বাচনী প্রচার করেছিলেন তখন গোটা রাজ্যজুড়ে কমপক্ষে ১৪ জন জমা জলের কারণে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন। কিন্তু মমতাকে দেখা যায়নি তাদের জন্য কোন রকম কথা বলতে। এমনকি তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করতে দেখা যায়নি। বাংলাতে যখন এই অবস্থা তখন উত্তরপ্রদেশে কী ঘটছে সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *